সিলেট ০৩:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫
News Title :
‎বানিয়াচংয়ে গভীর রাতে প্রবাসীর বাড়ি দখল, নিরীহ পরিবার জিম্মি! ‎নবীগঞ্জে চোরাই মোবাইল উদ্ধারে গিয়ে পুলিশের ওপর হামলা: ৫ জন আটক, ৬ পুলিশ সদস্য আহত‎ ‎নবীগঞ্জে আত্মহত্যা ও দাঙ্গা প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসনের সচেতনতামূলক সভা‎ সিলেটের জৈন্তাপুরে পালিত হলো জাতীয় কন্যা শিশু দিবস ‎ধনবাড়ীতে ওলামা দলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত: আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ‎সিলেটের বিভিন্ন সীমান্তে এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় গরু-মহিষের চোরাচালান আটক: বিজিবি’র সাফল্য ‎সখীপুরে মুসলিম জুয়েলার্সকে ১ লাখ টাকা জরিমানা ‎ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবিতে হবিগঞ্জে আইনজীবীদের মানববন্ধন ‎টাঙ্গাইল সদরে চাড়াবাড়ি এস ডি এস ব্রীজের পশ্চিম অংশ ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন মৃতের স্ত্রী হত্যা মামলা দিয়ে সাংবাদিক পরিবারকে হয়রানি, তদন্ত প্রতিবেদনের উপর তিনবার নারাজি ॥
অনিয়ম দূর্নীতির বিরুদ্ধে শিক্ষকের অভিযোগ...

‎গোয়াইনঘাটের সরকারি বেসরকারি অফিসে অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে খোলা চিঠি।

শিক্ষক রুহুল আমীন (ফাইল ছবি)


‎সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর একটি খোলা চিঠি পাঠিয়েছেন স্থানীয় একজন শিক্ষক।

‎তিনি চিঠিতে দুর্নীতির মহোৎসব, স্বাস্থ্যসেবার করুণ দশা, নাজুক যোগাযোগ ব্যবস্থা, চোরাচালান, এবং চাঁদাবাজির মতো গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে।


‎দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য ও স্বাস্থ্যসেবার বেহাল দশা

‎চিঠিতে শিক্ষক মোঃ রুহুল আমিন অভিযোগ করেন, গোয়াইনঘাটের প্রতিটি সরকারি অফিসে দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে।

‎বিশেষ করে ভূমি অফিস, সাব-রেজিস্ট্রার অফিস,ইউনিয়ন ভূমি অফিস, এবং নির্বাচন অফিসের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে।

‎একমাত্র উপজেলা হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসক নেই, যার ফলে সাধারণ মানুষ প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।


‎যোগাযোগ ব্যবস্থার দুরবস্থার কারনে পর্যটন খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ায়,পর্যটন খ্যাত এলাকা হওয়া সত্ত্বেও গোয়াইনঘাটের যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই খারাপ বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।


‎বিশেষ করে সিলেট-সালুটিকর-গোয়াইনঘাট এবং হাদারপাড়-বিছনাকান্দি রাস্তার বেহাল দশার কারণে পর্যটকদের যাতায়াতে ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে।

‎এই কারণে বিছনাকান্দি থেকে পর্যটকরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে, যা পুরো এলাকার জন্য লজ্জাজনক। এবং এলাকার ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। চোরাচালানের কাজে ব্যবহৃত দ্রুতগতির পিকআপ ও অবৈধ ট্রাক্টরের কারণে সড়ক দুর্ঘটনাও বেড়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।


‎চিঠিতে বলা হয়েছে, এই উপজেলার সীমান্তগুলো চোরাচালানের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। বিজিবি, পুলিশ এবং দালালদের যোগসাজশে ভারতীয় অবৈধ মালামালের চোরাচালান চলছে। রয়্যালটির নামে নৌপথে অতিরিক্ত চাঁদাবাজির অভিযোগও আনা হয়েছে।

‎শ্রমিকদের দুর্ভোগ এবং বিত্তবানদের উত্থান

‎পাথর কোয়ারি বন্ধ থাকায় হাজার হাজার শ্রমিক মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি বলে চিঠিতে দাবি করা হয়েছে।

‎অন্যদিকে, কিছু ব্যক্তি কোয়ারিকে পুঁজি করে শ্রমিকদের দুর্দশার সুযোগ নিয়ে রাতারাতি হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।

‎চিঠিতে সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) বিরুদ্ধেও দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদ অর্জনের গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে।

‎শিক্ষক রুহুল আমিন আশা প্রকাশ করেন, জেলা প্রশাসক সারওয়ার আলমের সততা ও কঠোর পদক্ষেপের মাধ্যমে গোয়াইনঘাটের এই সমস্যার সমাধান হবে এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

‎বানিয়াচংয়ে গভীর রাতে প্রবাসীর বাড়ি দখল, নিরীহ পরিবার জিম্মি!

অনিয়ম দূর্নীতির বিরুদ্ধে শিক্ষকের অভিযোগ...

‎গোয়াইনঘাটের সরকারি বেসরকারি অফিসে অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে খোলা চিঠি।

সময় ১০:৪৩:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শিক্ষক রুহুল আমীন (ফাইল ছবি)


‎সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর একটি খোলা চিঠি পাঠিয়েছেন স্থানীয় একজন শিক্ষক।

‎তিনি চিঠিতে দুর্নীতির মহোৎসব, স্বাস্থ্যসেবার করুণ দশা, নাজুক যোগাযোগ ব্যবস্থা, চোরাচালান, এবং চাঁদাবাজির মতো গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে।


‎দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য ও স্বাস্থ্যসেবার বেহাল দশা

‎চিঠিতে শিক্ষক মোঃ রুহুল আমিন অভিযোগ করেন, গোয়াইনঘাটের প্রতিটি সরকারি অফিসে দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে।

‎বিশেষ করে ভূমি অফিস, সাব-রেজিস্ট্রার অফিস,ইউনিয়ন ভূমি অফিস, এবং নির্বাচন অফিসের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে।

‎একমাত্র উপজেলা হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসক নেই, যার ফলে সাধারণ মানুষ প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।


‎যোগাযোগ ব্যবস্থার দুরবস্থার কারনে পর্যটন খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ায়,পর্যটন খ্যাত এলাকা হওয়া সত্ত্বেও গোয়াইনঘাটের যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই খারাপ বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।


‎বিশেষ করে সিলেট-সালুটিকর-গোয়াইনঘাট এবং হাদারপাড়-বিছনাকান্দি রাস্তার বেহাল দশার কারণে পর্যটকদের যাতায়াতে ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে।

‎এই কারণে বিছনাকান্দি থেকে পর্যটকরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে, যা পুরো এলাকার জন্য লজ্জাজনক। এবং এলাকার ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। চোরাচালানের কাজে ব্যবহৃত দ্রুতগতির পিকআপ ও অবৈধ ট্রাক্টরের কারণে সড়ক দুর্ঘটনাও বেড়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।


‎চিঠিতে বলা হয়েছে, এই উপজেলার সীমান্তগুলো চোরাচালানের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। বিজিবি, পুলিশ এবং দালালদের যোগসাজশে ভারতীয় অবৈধ মালামালের চোরাচালান চলছে। রয়্যালটির নামে নৌপথে অতিরিক্ত চাঁদাবাজির অভিযোগও আনা হয়েছে।

‎শ্রমিকদের দুর্ভোগ এবং বিত্তবানদের উত্থান

‎পাথর কোয়ারি বন্ধ থাকায় হাজার হাজার শ্রমিক মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি বলে চিঠিতে দাবি করা হয়েছে।

‎অন্যদিকে, কিছু ব্যক্তি কোয়ারিকে পুঁজি করে শ্রমিকদের দুর্দশার সুযোগ নিয়ে রাতারাতি হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।

‎চিঠিতে সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) বিরুদ্ধেও দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদ অর্জনের গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে।

‎শিক্ষক রুহুল আমিন আশা প্রকাশ করেন, জেলা প্রশাসক সারওয়ার আলমের সততা ও কঠোর পদক্ষেপের মাধ্যমে গোয়াইনঘাটের এই সমস্যার সমাধান হবে এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে।