
হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার সুবিদপুর-লক্ষ্মীপুর সড়কের একটি অংশ ভেঙে গেছে। এর ফলে আশেপাশের কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। গত রবিবার স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার হিরাই মিয়া কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই রাস্তার নিচ দিয়ে একটি ড্রেনেজ পাইপ বসানোর চেষ্টা করলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। পানির প্রবল স্রোতে রাস্তাটি দুই ভাগে ভেঙে যাওয়ায় লাখাই, নাসিরনগর ও মাধবপুর উপজেলার কিছু এলাকার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
এই সড়কটি সুবিদপুর, লক্ষ্মীপুর, এবং ধরমণ্ডল এলাকার হাজার হাজার মানুষের, বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের, যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম। রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন। ছোট ছোট বাচ্চারা বাঁশের সাঁকো দিয়ে পার হতে ভয় পাচ্ছে। বর্তমানে স্থানীয়রা ভাঙা অংশের ওপর একটি অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো তৈরি করেছেন, যা দিয়ে কেবল হেঁটে পার হওয়া যায়। কোনো ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারছে না, ফলে কৃষকদের কৃষি পণ্য পরিবহনেও বড় বাধা সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ওয়ার্ড মেম্বার হিরাই মিয়ার অপরিকল্পিত ও অনিয়মতান্ত্রিক কাজের জন্যই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তারা বলছেন, কর্তৃপক্ষের অনুমতি এবং কোনো প্রকৌশলগত পরামর্শ ছাড়াই এই কাজটি করা হয়েছিল। মেম্বার হিরাই মিয়া প্রথমে ইঁদুরের গর্তের কারণে রাস্তা ভাঙার কথা বললেও পরে তিনি স্বীকার করেছেন যে পাইপ বসানোর সময়ই রাস্তাটি ভেঙে যায়।
এ বিষয়ে ২ নং মুড়াকরি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফয়সল মোল্লা জানান, স্থানীয় মেম্বার এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে পাইপ বসাতে গেলে পানির চাপে রাস্তাটি ভেঙে যায়। এতে এলাকাবাসীর ভোগান্তি বেড়েছে।
এদিকে, লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনুপম দাস অনুপ-এর যোগাযোগ করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এলাকাবাসী দ্রুত সড়কটি সংস্কার করে স্বাভাবিক যোগাযোগ ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছে।