
হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানায় মাত্র ৯ মাসের মধ্যে তিন জন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) বদলি হয়েছেন। বদলিকৃত ওসি ৩ জনই আলোচিত নাইন মার্ডার মামলায় আইও ছিলেন।
বানিয়াচং থানা থেকে সর্বশেষ বদলি হয়েছেন ওসি গোলাম মোস্তফা। তিনি বানিয়াচংয়ের আলোচিত নাইন মার্ডার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছিলেন।
সর্বশেষ বদলি হওয়া ওসি গোলাম মোস্তফা প্রায় সাত মাস ধরে বানিয়াচং থানায় দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি মৌলভীবাজার জেলায় বদলি হয়েছেন বলে জানাগেছে।

তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন আজমিরীগঞ্জের শিবপাশা পুলিশ ফাঁড়ির আইসি মিজানুর রহমান। তিনি আগামী রবিবার নতুন দায়িত্বে যোগ দেবেন বলে বানিয়াচং থানা সূত্রে জানাযায়।
পূর্বের বদলির ঘটনা
২০২৪ সালের ৫ আগস্টের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বানিয়াচং থানাটি পুড়িয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা। এতে থানার সবকিছু পুড়ে ছারখার হয়ে যায়। শুধুমাত্র ইটের দেয়াল ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট ছিল না।
পরবর্তীতে সরকার পতনের পর নতুন করে বানিয়াচং উপজেলা পরিষদের বিআরডিপি অফিসে অস্থায়ী থানার কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এরপর থেকে ওসির পদে ঘন ঘন পরিবর্তন দেখা যায়।
২০২৪ জুলাই আন্দোলনের পর প্রথমে দায়িত্ব নেন আমিনুল ইসলাম। তিনি মাত্র ১ মাস ৩ দিন দায়িত্ব পালনের পর বদলি হন।
তার পর আসেন কবির হোসেন। তিনি ৩ মাস ৮ দিন দায়িত্ব পালন করে বদলি হয়ে যান।
ওসি গোলাম মোস্তফার বদলি নিয়ে নানা আলোচনা সমালোচনা চলছে। তার দায়িত্বকালে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে, যা সমালোচনার জন্ম দেয়:
খুনের মামলার আসামীর পালিয়ে যাওয়া।এছাড়াও আলোচিত নাইন মার্ডার মামলার তদন্তের দায়িত্ব ছিল তার ওপর। এই মামলার পলাতক আসামী কাগাপাশা ইউনিয়নের আওয়ামীগ নেতা আব্দুল মজিদকে গ্রেফতার করার পর তিনি হাতকড়াসহ পালিয়ে যান। দীর্ঘ সময় পার হলেও তাকে পুনরায় গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
মহানবী (সাঃ) কে কটুক্তিকারী: চলতি মাসে মহানবী (সাঃ) কে কটুক্তিকারী পাপন গোপসহ তার চক্রকে গ্রেফতারের জন্য তৌহিদী জনতা ও আলেমসমাজ থানা পুলিশকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। ওসি গোলাম মোস্তফা জনসভায় গিয়ে গ্রেফতারের প্রতিশ্রুতি দিলেও, ১৫ দিনেও কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। এর পরপরই তার বদলির আদেশ আসে বলে অনেকের ধারণা।
ওসি গোলাম মোস্তফার বদলি পুলিশ সূত্রে থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।