
সিলেটে ভূমি রেকর্ড ও জরিপের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য সেটেলমেন্ট প্রেস আর ঢাকায় স্থানান্তর করা হচ্ছে না।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্তে সিলেটবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। এর আগে ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার প্রেসটি সিলেটে রাখার আশ্বাস দিলেও, লিখিত আদেশ না আসায় এক ধরনের উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তা কাজ করছিল।
সিলেটের রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দের অনুরোধ এবং আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে ভূমি মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদির ও সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ূম চৌধুরী ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রেসটি সিলেটে রাখার জন্য অনুরোধ জানান। একই সময়ে সিলেটের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ সাইদুর রহমানের সঙ্গে সরাসরি ফোনে কথা বলে প্রেসটি সিলেটে রাখার অনুরোধ করেন।
নেতৃবৃন্দ ভূমি উপদেষ্টাকে জানান, সিলেটে মাত্র ৩৮টি মৌজার খতিয়ান ছাপানোর কাজ বাকি আছে এবং এই কাজ সম্পন্ন করতে আর কয়েক মাস সময় লাগবে। তাদের এই অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতেই ভূমি মন্ত্রণালয় প্রেসটি সিলেটে রেখে বাকি কাজ সম্পন্ন করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্তের পর থেকে সিলেটজুড়ে আনন্দের বন্যা বইছে। সিলেট মদন মোহন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও প্রেস রাখার আন্দোলনের সভাপতি পীর আতাউর রহমান এই
আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি বলেন, আমরা লিখিত আদেশ হাতে পেয়ে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ভাবে সবাইকে অবগত করব।