সিলেট ০২:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫
News Title :
‎বানিয়াচংয়ে গভীর রাতে প্রবাসীর বাড়ি দখল, নিরীহ পরিবার জিম্মি! ‎নবীগঞ্জে চোরাই মোবাইল উদ্ধারে গিয়ে পুলিশের ওপর হামলা: ৫ জন আটক, ৬ পুলিশ সদস্য আহত‎ ‎নবীগঞ্জে আত্মহত্যা ও দাঙ্গা প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসনের সচেতনতামূলক সভা‎ সিলেটের জৈন্তাপুরে পালিত হলো জাতীয় কন্যা শিশু দিবস ‎ধনবাড়ীতে ওলামা দলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত: আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ‎সিলেটের বিভিন্ন সীমান্তে এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় গরু-মহিষের চোরাচালান আটক: বিজিবি’র সাফল্য ‎সখীপুরে মুসলিম জুয়েলার্সকে ১ লাখ টাকা জরিমানা ‎ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবিতে হবিগঞ্জে আইনজীবীদের মানববন্ধন ‎টাঙ্গাইল সদরে চাড়াবাড়ি এস ডি এস ব্রীজের পশ্চিম অংশ ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন মৃতের স্ত্রী হত্যা মামলা দিয়ে সাংবাদিক পরিবারকে হয়রানি, তদন্ত প্রতিবেদনের উপর তিনবার নারাজি ॥

‎দাড়ি রাখা প্রসঙ্গে হবিগঞ্জ পুলিশ সুপারের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।‎

শহরের বিভিন্ন মসজিদের ইমাম ও খতিবদের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশ সুপার।



‎হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে আজ সোমবার (২৫ আগস্ট) দুপুর ১১টায় এক সংবাদ সম্মেলনে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) দাড়ি রাখা নিয়ে চলমান বিতর্কের বিষয়ে তার অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। এ সময় তিনি শহরের বিভিন্ন মসজিদের ইমাম ও খতিবদের সঙ্গে কথা বলেন।

পুলিশ সুপার জানান, তিনি নিজে একজন ধার্মিক মুসলিম এবং দাড়ি রাখেন। তার অধীনস্থ অনেক কর্মকর্তা দাড়ি রেখেছেন এবং মহিলা কর্মকর্তারা হিজাবও পালন করেন। এর আগে যারা দাড়ি রাখা বা হিজাব পরার অনুমতি চেয়েছেন, তিনি তাদের অনুমতি দিয়েছেন। সম্প্রতি আরও তিনজন কর্মকর্তা দাড়ি রাখার অনুমতি চাইলে তিনি তা মঞ্জুর করেন।

তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, ওই তিনজনকে দাড়ি রাখার জন্য কোনো শাস্তি দেওয়া হয়নি। তাদের হালকা শাস্তি দেওয়া হয়েছে মূলত ডিপার্টমেন্টের নিয়মশৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে, যা দাড়ি রাখার আবেদনের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। তিনি উপস্থিত ইমাম ও খতিবদের সামনে এই অনুমোদনের ডকুমেন্টগুলো পেশ করেন এবং আবেদনকারী তিন কর্মকর্তাকেও হাজির করেন। কর্মকর্তারা নিজেরাই স্বীকার করেন যে,তাদের শাস্তি দাড়ি রাখার জন্য নয়, বরং নিয়ম ভঙ্গের জন্য হয়েছে।
‎পুলিশ সুপার বলেন, ডিপার্টমেন্টের অভ্যন্তরীণ কাগজপত্র জনসম্মুখে প্রকাশ করে কিছু লোক তার বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে এবং সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।

তিনি ইমাম, খতিব এবং রাজনীতিবিদদের প্রতি অনুরোধ জানান, যাতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সমাজে কোনো ভুল বার্তা বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়। তিনি সবাইকে সঠিক তথ্য তুলে ধরার জন্য আহ্বান জানান।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

‎বানিয়াচংয়ে গভীর রাতে প্রবাসীর বাড়ি দখল, নিরীহ পরিবার জিম্মি!

‎দাড়ি রাখা প্রসঙ্গে হবিগঞ্জ পুলিশ সুপারের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।‎

সময় ০৯:২৮:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫
শহরের বিভিন্ন মসজিদের ইমাম ও খতিবদের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশ সুপার।



‎হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে আজ সোমবার (২৫ আগস্ট) দুপুর ১১টায় এক সংবাদ সম্মেলনে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) দাড়ি রাখা নিয়ে চলমান বিতর্কের বিষয়ে তার অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। এ সময় তিনি শহরের বিভিন্ন মসজিদের ইমাম ও খতিবদের সঙ্গে কথা বলেন।

পুলিশ সুপার জানান, তিনি নিজে একজন ধার্মিক মুসলিম এবং দাড়ি রাখেন। তার অধীনস্থ অনেক কর্মকর্তা দাড়ি রেখেছেন এবং মহিলা কর্মকর্তারা হিজাবও পালন করেন। এর আগে যারা দাড়ি রাখা বা হিজাব পরার অনুমতি চেয়েছেন, তিনি তাদের অনুমতি দিয়েছেন। সম্প্রতি আরও তিনজন কর্মকর্তা দাড়ি রাখার অনুমতি চাইলে তিনি তা মঞ্জুর করেন।

তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, ওই তিনজনকে দাড়ি রাখার জন্য কোনো শাস্তি দেওয়া হয়নি। তাদের হালকা শাস্তি দেওয়া হয়েছে মূলত ডিপার্টমেন্টের নিয়মশৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে, যা দাড়ি রাখার আবেদনের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। তিনি উপস্থিত ইমাম ও খতিবদের সামনে এই অনুমোদনের ডকুমেন্টগুলো পেশ করেন এবং আবেদনকারী তিন কর্মকর্তাকেও হাজির করেন। কর্মকর্তারা নিজেরাই স্বীকার করেন যে,তাদের শাস্তি দাড়ি রাখার জন্য নয়, বরং নিয়ম ভঙ্গের জন্য হয়েছে।
‎পুলিশ সুপার বলেন, ডিপার্টমেন্টের অভ্যন্তরীণ কাগজপত্র জনসম্মুখে প্রকাশ করে কিছু লোক তার বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে এবং সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।

তিনি ইমাম, খতিব এবং রাজনীতিবিদদের প্রতি অনুরোধ জানান, যাতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সমাজে কোনো ভুল বার্তা বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়। তিনি সবাইকে সঠিক তথ্য তুলে ধরার জন্য আহ্বান জানান।