
হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে আজ সোমবার (২৫ আগস্ট) দুপুর ১১টায় এক সংবাদ সম্মেলনে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) দাড়ি রাখা নিয়ে চলমান বিতর্কের বিষয়ে তার অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। এ সময় তিনি শহরের বিভিন্ন মসজিদের ইমাম ও খতিবদের সঙ্গে কথা বলেন।
পুলিশ সুপার জানান, তিনি নিজে একজন ধার্মিক মুসলিম এবং দাড়ি রাখেন। তার অধীনস্থ অনেক কর্মকর্তা দাড়ি রেখেছেন এবং মহিলা কর্মকর্তারা হিজাবও পালন করেন। এর আগে যারা দাড়ি রাখা বা হিজাব পরার অনুমতি চেয়েছেন, তিনি তাদের অনুমতি দিয়েছেন। সম্প্রতি আরও তিনজন কর্মকর্তা দাড়ি রাখার অনুমতি চাইলে তিনি তা মঞ্জুর করেন।
তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, ওই তিনজনকে দাড়ি রাখার জন্য কোনো শাস্তি দেওয়া হয়নি। তাদের হালকা শাস্তি দেওয়া হয়েছে মূলত ডিপার্টমেন্টের নিয়মশৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে, যা দাড়ি রাখার আবেদনের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। তিনি উপস্থিত ইমাম ও খতিবদের সামনে এই অনুমোদনের ডকুমেন্টগুলো পেশ করেন এবং আবেদনকারী তিন কর্মকর্তাকেও হাজির করেন। কর্মকর্তারা নিজেরাই স্বীকার করেন যে,তাদের শাস্তি দাড়ি রাখার জন্য নয়, বরং নিয়ম ভঙ্গের জন্য হয়েছে।
পুলিশ সুপার বলেন, ডিপার্টমেন্টের অভ্যন্তরীণ কাগজপত্র জনসম্মুখে প্রকাশ করে কিছু লোক তার বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে এবং সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
তিনি ইমাম, খতিব এবং রাজনীতিবিদদের প্রতি অনুরোধ জানান, যাতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সমাজে কোনো ভুল বার্তা বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়। তিনি সবাইকে সঠিক তথ্য তুলে ধরার জন্য আহ্বান জানান।