
ছবি- সাদেক খান
সিলেটে গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা বাড়ছে এবং সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরই মধ্যে অনেক স্থানে নদী ভাঙনের কবলে পড়েছে বেশ কয়েকটি গ্রাম।
নগরজুড়ে তীব্র জলাবদ্ধতা ও যানজট। টানা বৃষ্টির কারণে সিলেট নগরীর প্রায় সব এলাকায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তাঘাট হাঁটু পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় পথচারী ও যানবাহন চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। নগরীর চৌহাট্টা, শিবগঞ্জ, ইলেকট্রিক সাপ্লাই রোড, এয়ারপোর্ট রোড, উপশহর এলাকা এবং এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ রোডসহ বিভিন্ন স্থানে একই চিত্র দেখা গেছে। ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালের চারপাশেও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে নিচতলা প্রায় হাঁটু পানিতে তলিয়ে গেছে, যা রোগী ও তাদের স্বজনদের চলাচলে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে এবং চিকিৎসা সেবায়ও প্রভাব ফেলছে।
আজ ছুটির দিন হওয়া সত্ত্বেও কোরবানির ঈদ সামনে রেখে কেনাকাটা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে নগরবাসীকে জরুরি প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হতে হচ্ছে। কিন্তু বের হয়েই তারা বৃষ্টির বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। অতি ভারী বৃষ্টিতে ড্রেন উপচে পানি রাস্তায় গড়িয়ে পড়তে দেখা যাচ্ছে।

পর্যটন কেন্দ্রগুলো প্লাবিত, সতর্কতা জারি। এদিকে, ভারী বৃষ্টি এবং ভারত থেকে নেমে আসা উজানের ঢলে সিলেটের প্রধান তিনটি পর্যটন স্পট ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর, জাফলং এবং বিছানাকান্দি সম্পূর্ণরূপে তলিয়ে গেছে। লালখালসহ সিলেটের অধিকাংশ পর্যটন কেন্দ্র এখন পানির নিচে। এই আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির কারণে প্রশাসন পর্যটকদের সতর্ক করে দিয়েছে এবং বন্যা কবলিত এসব স্থান থেকে সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।
“অনলাইন সিলেট”-এর রিপোর্টাররা দিনভর সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকা সরেজমিনে ঘুরে এসব তথ্য সংগ্রহ করেছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে নগরবাসী চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন এবং দ্রুত এই পরিস্থিতির উন্নতির আশা করছেন।