সিলেট ০৫:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫
News Title :
‎বানিয়াচংয়ে গভীর রাতে প্রবাসীর বাড়ি দখল, নিরীহ পরিবার জিম্মি! ‎নবীগঞ্জে চোরাই মোবাইল উদ্ধারে গিয়ে পুলিশের ওপর হামলা: ৫ জন আটক, ৬ পুলিশ সদস্য আহত‎ ‎নবীগঞ্জে আত্মহত্যা ও দাঙ্গা প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসনের সচেতনতামূলক সভা‎ সিলেটের জৈন্তাপুরে পালিত হলো জাতীয় কন্যা শিশু দিবস ‎ধনবাড়ীতে ওলামা দলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত: আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ‎সিলেটের বিভিন্ন সীমান্তে এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় গরু-মহিষের চোরাচালান আটক: বিজিবি’র সাফল্য ‎সখীপুরে মুসলিম জুয়েলার্সকে ১ লাখ টাকা জরিমানা ‎ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবিতে হবিগঞ্জে আইনজীবীদের মানববন্ধন ‎টাঙ্গাইল সদরে চাড়াবাড়ি এস ডি এস ব্রীজের পশ্চিম অংশ ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন মৃতের স্ত্রী হত্যা মামলা দিয়ে সাংবাদিক পরিবারকে হয়রানি, তদন্ত প্রতিবেদনের উপর তিনবার নারাজি ॥

‎বানিয়াচংয়ে ‘ডেভিলহান্ট’ অভিযানে ব্যবসায়ী গ্রেফতার, রাজনৈতিক বিরোধের অভিযোগ!

আটককৃত রাসেল হোসাইনের (ফাইল ছবি)


‎অন্তবর্তী সরকার ও পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) নির্দেশ উপেক্ষা করে ‘ডেভিলহান্ট’ অভিযানে বানিয়াচংয়ে একজন ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

‎আজ বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে বানিয়াচং থানার পুলিশ বড়বাজারস্থ হারুন ট্রেডার্স (রাসেলের নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান) থেকে তাকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

‎এলাকাবাসীর দাবি, ভূমি নিয়ে ব্যক্তিগত বিরোধের জেরে তাকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে বলে পরিবারের অভিযোগ। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম রাসেল হোসাইন। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হারুন মিয়ার ছেলে।

‎গ্রেফতারের পর এলাকার মানুষ তাকে ছাড়িয়ে আনার জন্য থানা অভিমুখে জড়ো হওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ তড়িঘড়ি করে রাসেলকে কোর্টে পাঠায়।

‎স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, রাসেল কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত নন।

‎তবে অনেকেই দাবী করেন ২০১৪ সালের উপজেলা যুবলীগের কার্যকরী কমিটির ৬৩ নং ক্রমিকের মোঃ রাসেল মিয়া সদস্য হিসেবে উপজেলা কমিটিতে তার নাম আছে তার। যদিও গ্রেফতারকৃত রাসেলের পুরোনাম রাসেল হোসাইন।


‎এলাকাবাসী ও পরিবারের দাবী রাসেল গত ৩০ বছর ধরে তার বাবার সাথে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন।

‎পরিবারের অভিযোগ, প্রতিবেশী জাতীয় পার্টি নেতা দেওয়ান শোয়েব রাজার সঙ্গে ভূমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তাকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে গ্রেফতার করানো হয়েছে। চলমান ছাত্র-জনতা আন্দোলনে কোনো ধরনের নাশকতার সঙ্গে জড়িত না থাকা সত্ত্বেও তাকে আন্দোলনকারীদের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

‎এতে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

‎এদিকে, রাসেলকে গ্রেফতারের মাত্র আধঘণ্টা পর দেওয়ান শোয়েব রাজা তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি লেখেন, “বানিয়াচং উপজেলা যুবলীগের ৬৩ নং ক্রমিকে সদস্য মো: রাসেল মিয়া অপারেশন ডেভিল হান্ট এর আওতায় আটক।


‎সে বানিয়াচং উপজেলা আওয়ামিলীগ সিনিয়র সহসভাপতি হারুন মিয়ার ছেলে। গোয়েন্দা সংস্থার বরাতে জানা যায়, সে বানিয়াচং উপজেলা যুবলীগের সদস্যদের সংগঠিত করে নাশকতার চেষ্টা করছিলো বলে শোয়েব রাজা তার ফেসবুক পোষ্টে উল্লেখ করেন।

‎রাসেলের গ্রেফতারের ঘটনায় তার এলাকায় তীব্র

‎আলোচনা ও সমালোচনা চলছে।

‎এই ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে যে, দেওয়ান শোয়েব রাজা কীভাবে গ্রেফতারের এত দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলার বিস্তারিত তথ্য জেনে গেলেন? তাদের দাবি, ওসি এবং শোয়েবের মধ্যে কোনো যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন!

‎এবিষয়ে দেওয়ান শোয়েব রাজা সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমার সাথে কারও সাথে ব্যক্তিগত কোন বিরোধ নেই। তিনি বলেন, আমি সামাজিকতার পাশাপাশি একজন গণমাধ্যম কর্মীও, সাংবাদিক হিসেবে আমি অগ্রীম তথ্য জানতে পারাটা স্বাভাবিক, এটা আমার সাংবাদিকতার নিয়মের মধ্যে পড়ে।


‎এ বিষয়ে বানিয়াচং সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রভাস চন্দ্র গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

‎তবে তিনি তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে বিস্তারিত কিছু জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন এবং জানান যে, পরবর্তীতে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

‎বানিয়াচংয়ে গভীর রাতে প্রবাসীর বাড়ি দখল, নিরীহ পরিবার জিম্মি!

‎বানিয়াচংয়ে ‘ডেভিলহান্ট’ অভিযানে ব্যবসায়ী গ্রেফতার, রাজনৈতিক বিরোধের অভিযোগ!

সময় ১০:১৮:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আটককৃত রাসেল হোসাইনের (ফাইল ছবি)


‎অন্তবর্তী সরকার ও পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) নির্দেশ উপেক্ষা করে ‘ডেভিলহান্ট’ অভিযানে বানিয়াচংয়ে একজন ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

‎আজ বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে বানিয়াচং থানার পুলিশ বড়বাজারস্থ হারুন ট্রেডার্স (রাসেলের নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান) থেকে তাকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

‎এলাকাবাসীর দাবি, ভূমি নিয়ে ব্যক্তিগত বিরোধের জেরে তাকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে বলে পরিবারের অভিযোগ। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম রাসেল হোসাইন। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হারুন মিয়ার ছেলে।

‎গ্রেফতারের পর এলাকার মানুষ তাকে ছাড়িয়ে আনার জন্য থানা অভিমুখে জড়ো হওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ তড়িঘড়ি করে রাসেলকে কোর্টে পাঠায়।

‎স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, রাসেল কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত নন।

‎তবে অনেকেই দাবী করেন ২০১৪ সালের উপজেলা যুবলীগের কার্যকরী কমিটির ৬৩ নং ক্রমিকের মোঃ রাসেল মিয়া সদস্য হিসেবে উপজেলা কমিটিতে তার নাম আছে তার। যদিও গ্রেফতারকৃত রাসেলের পুরোনাম রাসেল হোসাইন।


‎এলাকাবাসী ও পরিবারের দাবী রাসেল গত ৩০ বছর ধরে তার বাবার সাথে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন।

‎পরিবারের অভিযোগ, প্রতিবেশী জাতীয় পার্টি নেতা দেওয়ান শোয়েব রাজার সঙ্গে ভূমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তাকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে গ্রেফতার করানো হয়েছে। চলমান ছাত্র-জনতা আন্দোলনে কোনো ধরনের নাশকতার সঙ্গে জড়িত না থাকা সত্ত্বেও তাকে আন্দোলনকারীদের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

‎এতে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

‎এদিকে, রাসেলকে গ্রেফতারের মাত্র আধঘণ্টা পর দেওয়ান শোয়েব রাজা তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি লেখেন, “বানিয়াচং উপজেলা যুবলীগের ৬৩ নং ক্রমিকে সদস্য মো: রাসেল মিয়া অপারেশন ডেভিল হান্ট এর আওতায় আটক।


‎সে বানিয়াচং উপজেলা আওয়ামিলীগ সিনিয়র সহসভাপতি হারুন মিয়ার ছেলে। গোয়েন্দা সংস্থার বরাতে জানা যায়, সে বানিয়াচং উপজেলা যুবলীগের সদস্যদের সংগঠিত করে নাশকতার চেষ্টা করছিলো বলে শোয়েব রাজা তার ফেসবুক পোষ্টে উল্লেখ করেন।

‎রাসেলের গ্রেফতারের ঘটনায় তার এলাকায় তীব্র

‎আলোচনা ও সমালোচনা চলছে।

‎এই ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে যে, দেওয়ান শোয়েব রাজা কীভাবে গ্রেফতারের এত দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলার বিস্তারিত তথ্য জেনে গেলেন? তাদের দাবি, ওসি এবং শোয়েবের মধ্যে কোনো যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন!

‎এবিষয়ে দেওয়ান শোয়েব রাজা সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমার সাথে কারও সাথে ব্যক্তিগত কোন বিরোধ নেই। তিনি বলেন, আমি সামাজিকতার পাশাপাশি একজন গণমাধ্যম কর্মীও, সাংবাদিক হিসেবে আমি অগ্রীম তথ্য জানতে পারাটা স্বাভাবিক, এটা আমার সাংবাদিকতার নিয়মের মধ্যে পড়ে।


‎এ বিষয়ে বানিয়াচং সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রভাস চন্দ্র গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

‎তবে তিনি তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে বিস্তারিত কিছু জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন এবং জানান যে, পরবর্তীতে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।