সিলেট ০৩:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫
News Title :
‎বানিয়াচংয়ে গভীর রাতে প্রবাসীর বাড়ি দখল, নিরীহ পরিবার জিম্মি! ‎নবীগঞ্জে চোরাই মোবাইল উদ্ধারে গিয়ে পুলিশের ওপর হামলা: ৫ জন আটক, ৬ পুলিশ সদস্য আহত‎ ‎নবীগঞ্জে আত্মহত্যা ও দাঙ্গা প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসনের সচেতনতামূলক সভা‎ সিলেটের জৈন্তাপুরে পালিত হলো জাতীয় কন্যা শিশু দিবস ‎ধনবাড়ীতে ওলামা দলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত: আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ‎সিলেটের বিভিন্ন সীমান্তে এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় গরু-মহিষের চোরাচালান আটক: বিজিবি’র সাফল্য ‎সখীপুরে মুসলিম জুয়েলার্সকে ১ লাখ টাকা জরিমানা ‎ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবিতে হবিগঞ্জে আইনজীবীদের মানববন্ধন ‎টাঙ্গাইল সদরে চাড়াবাড়ি এস ডি এস ব্রীজের পশ্চিম অংশ ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন মৃতের স্ত্রী হত্যা মামলা দিয়ে সাংবাদিক পরিবারকে হয়রানি, তদন্ত প্রতিবেদনের উপর তিনবার নারাজি ॥
বানিয়াচংয়ের আলোচিত ৯ মার্ডার....

‎হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে ৯ মার্ডার ঘটনায় ওসি দেলোয়ার হোসেনকে আটক করেছ ডিবি পুলিশ

বানিয়াচংয়ের ৯ মার্ডার মামলায় গ্রেফতার (ওসি) দেলোয়ার হোসেন। (ফাইল ছবি)



‎হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে গত বছরের ৫ আগস্ট ৯ জন ছাত্রজনতাকে গুলি করে হত্যা মামলায় অভিযোগে তৎকালীন বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) দেলোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে রংপুর ডিবি পুলিশ। গ্রেফতারের
‎বিষয়টি নিশ্চিত করেন, সাবেক নাইন মার্ডার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক (ওসি)
‎তদন্ত মো:আবু হানিফ।

‎১৪ আগষ্ট (বৃহস্পতিবার) তিনি এই প্রতিবেদককে মোবাইল ফোনে নিশ্চিত করেন বলেন, ১৩ আগষ্ট (বুধবার) রংপুর জেলা ডিবি পুলিশ এই রেঞ্জ অফিসে পরিদর্শক পদে থাকা কর্মস্থল থেকে তাকে আটক করা হয়েছে।

‎সেখান থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
‎উল্লেখ্য,গতবছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ওসি দেলোয়ার বানিয়াচং থানায় কর্মরত ছিলেন।
‎সেদিন বেলা ১১টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাগরদিঘীর পশ্চিমপাড় ঈদগাহ মাঠ থেকে একটি মিছিল বের করেন।
‎মিছিলটি গ্যানিংগঞ্জ (নতুন বাজার) প্রদক্ষিণ শেষে ৮/১০হাজার লোক বড়বাজার শহীদ মিনারে গিয়ে জড়ো হন। পরে বিক্ষুব্ধ লোকজনের মিছিলের একটি অংশ থানার সামনে গেলে পুলিশের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। তখন আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে বলে অভিযোগ উঠে!
‎প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,ঘটনার সময় পুলিশ রাবার বুলেট,কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে।সে-সময় পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলে ৪জন নিহত হন। পরে আরও ৪ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ঐ সময় ঘটনার চিত্র ধারণ করতে গেলে বিক্ষুব্ধরা এক স্থানীয় সাংবাদিককে পিটিয়ে হত্যা করে। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ৯ জনের গিয়ে পৌঁছে।
‎এরপর বিক্ষুব্ধ জনতা থানার উপ-পরিদর্শক
‎(এসআই) সন্তোষ চৌধুরী কে সেনাবাহিনী কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
‎পরদিন ৬ আগষ্ট গুলিবিদ্ধ আনাস নামের আরেক জন সিলেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
‎এই ঘটনায় ৯ জন নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে ও থানা পুড়িয়ে সরকারি সবকিছু ধ্বংস  অস্ত্র গুলাবারুদ লুটপাট এবং এক পুলিশ সদস্য (এসআই) সন্তোষ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে আলাদা একটি মামলা সহ পরপর দু’টি মামলা করা হয়।
‎তারপর পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়া সাদিকুল হত্যার অভিযোগ এনে তার ছোট্ট ভাইয়ের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দিলোয়ার হোসেন পুলিশ সদস্য ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সহ আর অনেক মানুষ কে আসামি করে আরেকটি অভিযোগ দায়ের হয়।
‎এই অভিযোগ এর পর ২য় দফায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রসিকিউটর এর প্রতিনিধিদল বানিয়াচং আসেন।
‎এবং পৃথক পৃথক ভাবে ইতোমধ্য ৩০ জনের অধিক লোকজনের সাক্ষ্য নিয়েছেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

‎বানিয়াচংয়ে গভীর রাতে প্রবাসীর বাড়ি দখল, নিরীহ পরিবার জিম্মি!

বানিয়াচংয়ের আলোচিত ৯ মার্ডার....

‎হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে ৯ মার্ডার ঘটনায় ওসি দেলোয়ার হোসেনকে আটক করেছ ডিবি পুলিশ

সময় ০৬:৫২:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫
বানিয়াচংয়ের ৯ মার্ডার মামলায় গ্রেফতার (ওসি) দেলোয়ার হোসেন। (ফাইল ছবি)



‎হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে গত বছরের ৫ আগস্ট ৯ জন ছাত্রজনতাকে গুলি করে হত্যা মামলায় অভিযোগে তৎকালীন বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) দেলোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে রংপুর ডিবি পুলিশ। গ্রেফতারের
‎বিষয়টি নিশ্চিত করেন, সাবেক নাইন মার্ডার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক (ওসি)
‎তদন্ত মো:আবু হানিফ।

‎১৪ আগষ্ট (বৃহস্পতিবার) তিনি এই প্রতিবেদককে মোবাইল ফোনে নিশ্চিত করেন বলেন, ১৩ আগষ্ট (বুধবার) রংপুর জেলা ডিবি পুলিশ এই রেঞ্জ অফিসে পরিদর্শক পদে থাকা কর্মস্থল থেকে তাকে আটক করা হয়েছে।

‎সেখান থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
‎উল্লেখ্য,গতবছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ওসি দেলোয়ার বানিয়াচং থানায় কর্মরত ছিলেন।
‎সেদিন বেলা ১১টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাগরদিঘীর পশ্চিমপাড় ঈদগাহ মাঠ থেকে একটি মিছিল বের করেন।
‎মিছিলটি গ্যানিংগঞ্জ (নতুন বাজার) প্রদক্ষিণ শেষে ৮/১০হাজার লোক বড়বাজার শহীদ মিনারে গিয়ে জড়ো হন। পরে বিক্ষুব্ধ লোকজনের মিছিলের একটি অংশ থানার সামনে গেলে পুলিশের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। তখন আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে বলে অভিযোগ উঠে!
‎প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,ঘটনার সময় পুলিশ রাবার বুলেট,কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে।সে-সময় পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলে ৪জন নিহত হন। পরে আরও ৪ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ঐ সময় ঘটনার চিত্র ধারণ করতে গেলে বিক্ষুব্ধরা এক স্থানীয় সাংবাদিককে পিটিয়ে হত্যা করে। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ৯ জনের গিয়ে পৌঁছে।
‎এরপর বিক্ষুব্ধ জনতা থানার উপ-পরিদর্শক
‎(এসআই) সন্তোষ চৌধুরী কে সেনাবাহিনী কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
‎পরদিন ৬ আগষ্ট গুলিবিদ্ধ আনাস নামের আরেক জন সিলেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
‎এই ঘটনায় ৯ জন নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে ও থানা পুড়িয়ে সরকারি সবকিছু ধ্বংস  অস্ত্র গুলাবারুদ লুটপাট এবং এক পুলিশ সদস্য (এসআই) সন্তোষ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে আলাদা একটি মামলা সহ পরপর দু’টি মামলা করা হয়।
‎তারপর পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়া সাদিকুল হত্যার অভিযোগ এনে তার ছোট্ট ভাইয়ের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দিলোয়ার হোসেন পুলিশ সদস্য ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সহ আর অনেক মানুষ কে আসামি করে আরেকটি অভিযোগ দায়ের হয়।
‎এই অভিযোগ এর পর ২য় দফায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রসিকিউটর এর প্রতিনিধিদল বানিয়াচং আসেন।
‎এবং পৃথক পৃথক ভাবে ইতোমধ্য ৩০ জনের অধিক লোকজনের সাক্ষ্য নিয়েছেন।