সিলেট ০১:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫
News Title :
‎বানিয়াচংয়ে গভীর রাতে প্রবাসীর বাড়ি দখল, নিরীহ পরিবার জিম্মি! ‎নবীগঞ্জে চোরাই মোবাইল উদ্ধারে গিয়ে পুলিশের ওপর হামলা: ৫ জন আটক, ৬ পুলিশ সদস্য আহত‎ ‎নবীগঞ্জে আত্মহত্যা ও দাঙ্গা প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসনের সচেতনতামূলক সভা‎ সিলেটের জৈন্তাপুরে পালিত হলো জাতীয় কন্যা শিশু দিবস ‎ধনবাড়ীতে ওলামা দলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত: আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ‎সিলেটের বিভিন্ন সীমান্তে এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় গরু-মহিষের চোরাচালান আটক: বিজিবি’র সাফল্য ‎সখীপুরে মুসলিম জুয়েলার্সকে ১ লাখ টাকা জরিমানা ‎ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবিতে হবিগঞ্জে আইনজীবীদের মানববন্ধন ‎টাঙ্গাইল সদরে চাড়াবাড়ি এস ডি এস ব্রীজের পশ্চিম অংশ ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন মৃতের স্ত্রী হত্যা মামলা দিয়ে সাংবাদিক পরিবারকে হয়রানি, তদন্ত প্রতিবেদনের উপর তিনবার নারাজি ॥

‎টাঙ্গাইলের কলঙ্ক: এক তরুণীর কে গণধর্ষণ- আটক ৩

অভিযুক্তকে তিন নরপশু কে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আটক করেছে।

টাঙ্গাইলে রেলস্টেশনের পাশের একটি বাগানে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার রাতে রেলস্টেশনের ঘারিন্দা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। শনিবার সকালে নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের অভিযানে আটককৃতরা হল সদর থানার ব্রাহ্মণকুশিয়া সুতার পাড়া এলাকার সেন্টু চন্দ্র দাশের ছেলে দুলাল চন্দ্র (২৮), হালিম খানের ছেলে সজিব খান (১৯) এবং মৃত কিসমত মিয়ার ছেলে রুপু মিয়া (২৭)। তারা তিনজনই পেশায় সিএনজিচালক। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে পুলিশ জানায়। একটি মর্মান্তিক ঘটনায় স্তম্ভিত টাঙ্গাইলবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৫ জুলাই রাতে। ভুক্তভুগী নারী চট্টগ্রামগামী একটি চলন্ত ট্রেন থেকে ভুল করে টাঙ্গাইল স্টেশনে নেমে পড়েন এই তরুণী। এরপর তিন কুলাঙ্গারের পাশবিক নির্যাতনে ক্ষতবিক্ষত হন তিনি। এই ঘটনা টাঙ্গাইলের সম্মানকে ধুলায় মিশিয়ে দিয়েছে এবং পুরো জাতিকে নাড়িয়ে দিয়েছে।
‎ঘটনার বিবরণে জানা যায়, উক্ত তরুণী চট্টগ্রাম যাচ্ছিলেন। কিন্তু পথ ভুলে তিনি টাঙ্গাইল স্টেশনে নেমে পড়েন। ট্রেন থেকে নেমে ঢাকার উদ্দেশে বাস ধরার জন্য যখন তিনি পথ খুঁজছিলেন, তখন তিন নরপশু তাকে সহযোগিতা করার অজুহাতে কৌশলে ফাঁদে ফেলে। এরপর রাতের আঁধারে স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় একটি বাগানে নিয়ে তরুণী কে গণধর্ষণ করে তিন পাষণ্ড।
‎ এই জঘন্য ঘটনা টাঙ্গাইলের ইতিহাসে এক কালো অধ্যায়ের সূচনা করেছে। এ ঘটনায় টাঙ্গাইলের আপামর জনগণ ক্ষোভ ও লজ্জায় নতশির। এমন পাশবিকতা সমাজের অবক্ষয়কে স্পষ্ট করে তোলে এবং নারী সুরক্ষার বিষয়ে আবারও প্রশ্ন তোলে।
‎পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার পরপরই তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে দ্রুত অভিযান চালিয়ে তিন অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। তবে শুধু আইনি ব্যবস্থা নয়, সমাজের প্রতিটি স্তরে এমন বর্বরতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা জরুরি।
‎এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করে, আমাদের সমাজে নারীর নিরাপত্তা কতটা হুমকির মুখে। নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে কঠোর আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা এবং নৈতিক শিক্ষার বিস্তার অত্যন্ত জরুরি। টাঙ্গাইলের এই ঘটনা যেন আর কোনো মায়ের বুক খালি না করে, আর কোনো বোনের জীবনে বিভীষিকা না নিয়ে আসে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

‎বানিয়াচংয়ে গভীর রাতে প্রবাসীর বাড়ি দখল, নিরীহ পরিবার জিম্মি!

‎টাঙ্গাইলের কলঙ্ক: এক তরুণীর কে গণধর্ষণ- আটক ৩

সময় ০৫:১৩:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫
অভিযুক্তকে তিন নরপশু কে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আটক করেছে।

টাঙ্গাইলে রেলস্টেশনের পাশের একটি বাগানে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার রাতে রেলস্টেশনের ঘারিন্দা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। শনিবার সকালে নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের অভিযানে আটককৃতরা হল সদর থানার ব্রাহ্মণকুশিয়া সুতার পাড়া এলাকার সেন্টু চন্দ্র দাশের ছেলে দুলাল চন্দ্র (২৮), হালিম খানের ছেলে সজিব খান (১৯) এবং মৃত কিসমত মিয়ার ছেলে রুপু মিয়া (২৭)। তারা তিনজনই পেশায় সিএনজিচালক। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে পুলিশ জানায়। একটি মর্মান্তিক ঘটনায় স্তম্ভিত টাঙ্গাইলবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৫ জুলাই রাতে। ভুক্তভুগী নারী চট্টগ্রামগামী একটি চলন্ত ট্রেন থেকে ভুল করে টাঙ্গাইল স্টেশনে নেমে পড়েন এই তরুণী। এরপর তিন কুলাঙ্গারের পাশবিক নির্যাতনে ক্ষতবিক্ষত হন তিনি। এই ঘটনা টাঙ্গাইলের সম্মানকে ধুলায় মিশিয়ে দিয়েছে এবং পুরো জাতিকে নাড়িয়ে দিয়েছে।
‎ঘটনার বিবরণে জানা যায়, উক্ত তরুণী চট্টগ্রাম যাচ্ছিলেন। কিন্তু পথ ভুলে তিনি টাঙ্গাইল স্টেশনে নেমে পড়েন। ট্রেন থেকে নেমে ঢাকার উদ্দেশে বাস ধরার জন্য যখন তিনি পথ খুঁজছিলেন, তখন তিন নরপশু তাকে সহযোগিতা করার অজুহাতে কৌশলে ফাঁদে ফেলে। এরপর রাতের আঁধারে স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় একটি বাগানে নিয়ে তরুণী কে গণধর্ষণ করে তিন পাষণ্ড।
‎ এই জঘন্য ঘটনা টাঙ্গাইলের ইতিহাসে এক কালো অধ্যায়ের সূচনা করেছে। এ ঘটনায় টাঙ্গাইলের আপামর জনগণ ক্ষোভ ও লজ্জায় নতশির। এমন পাশবিকতা সমাজের অবক্ষয়কে স্পষ্ট করে তোলে এবং নারী সুরক্ষার বিষয়ে আবারও প্রশ্ন তোলে।
‎পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার পরপরই তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে দ্রুত অভিযান চালিয়ে তিন অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। তবে শুধু আইনি ব্যবস্থা নয়, সমাজের প্রতিটি স্তরে এমন বর্বরতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা জরুরি।
‎এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করে, আমাদের সমাজে নারীর নিরাপত্তা কতটা হুমকির মুখে। নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে কঠোর আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা এবং নৈতিক শিক্ষার বিস্তার অত্যন্ত জরুরি। টাঙ্গাইলের এই ঘটনা যেন আর কোনো মায়ের বুক খালি না করে, আর কোনো বোনের জীবনে বিভীষিকা না নিয়ে আসে।