
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে ৫ই আগস্টের ঘটনার এক বছর পূর্তিতে বিবিসি নিউজ বাংলার একটি প্রতিবেদনের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বছর এই দিনে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের লোকজনের গুলিতে ৯ জন ছাত্র-জনতা শহীদ হয়েছিলেন। প্রতিবাদকারীরা বলছেন, বিবিসি বাংলা তাদের ২৫শে জুলাইয়ের প্রতিবেদনে নিহত সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) সন্তোষ চৌধুরীর পক্ষে একতরফা তথ্য প্রকাশ করেছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
রবিবার সকাল ১১টায় স্থানীয় শহীদ মিনারে “ছাত্র-জনতা” ব্যানারে এই মানববন্ধন আয়োজিত হয়। জুলাই যোদ্ধা খাইরুল ঠাকুর এতে সভাপতিত্ব করেন। জুলাই আন্দোলনকারী আরজত লস্কর অন্তরের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আলহাজ্ব লুৎফুর রহমান, উপজেলা বিএনপির নেতা নকিব ফজলে রকিব মাখন, বানিয়াচং প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমদাদুল হোসেন খান, মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি জীবন আহমেদ লিটন, সিনিয়র সাংবাদিক মোতাব্বির হোসেন,মানবজমিন প্রতিনিধি মখলিছ মিয়া, সাংবাদিক ও জুলাই যোদ্ধা শেখ সফিকুল ইসলাম সফিক, সমন্বয়ক জুলাই আন্দোলনকারী রিমন আহমেদ, সেজু আহমেদ, কৃষকদলের সদস্য সচিব মুক্তাদির হোসেন সেবুল, সৈয়দ সোহেল রানা, জিসান মিয়া, এবং জুলাই যোদ্ধা আব্দুল বাছিত।

বক্তারা অভিযোগ করেন যে, গত বছর ১৯শে জুলাই থেকে ৪ঠা আগস্ট পর্যন্ত স্থানীয় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সহযোগিতায় এসআই সন্তোষের নেতৃত্বে হামলা, মামলা ও লোমহর্ষক নির্যাতন চালানো হয়েছিল। তাদের দাবি, ৫ই আগস্ট এই সন্তোষের নেতৃত্বেই অন্যান্য পুলিশ সদস্য এবং আওয়ামী লীগের লোকজন নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ৯ জন ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে। এর ফলস্বরূপ হাজার হাজার বিক্ষুব্ধ জনতা থানা ঘেরাও করে এসআই সন্তোষকে হত্যা করে।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, ঘটনার এক বছর পর বানিয়াচংয়ে আওয়ামী লীগের সক্রিয় সাংবাদিক, শ্রমিক লীগসহ “স্বৈরাচারের” লোকজনের সাক্ষাৎকার নিয়ে ২৫শে জুলাই বিবিসি নিউজ বাংলা পুলিশের পক্ষ নিয়ে একটি প্রতিবেদন করেছে, যা জনগণ মেনে নিতে পারছে না। বক্তারা উদ্দেশ্যমূলক এই প্রতিবেদনটি সংশোধন করে পুনরায় প্রকাশের দাবি জানান। অন্যথায়, ৫ই আগস্টের মতো বিবিসি এবং ওই টিভিকে সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।