সিলেট ১০:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
News Title :
চা-শ্রমিক পরিবারের মেয়ে ইতির ঢাবিতে ভর্তির সাফল্য: বরমচাল বাগানে আনন্দের ঢেউ। বানিয়াচং কিন্ডার গার্টেন অ্যাসোসিয়েশন বৃত্তি পরীক্ষায় শাহরিয়ার আদনানের সুপার ট্যালেন্ট বৃত্তি অর্জন। লোকগানের কিংবদন্তী সাধক খোয়াজ মিয়া আর নেই শাল্লার ললিতার চিকিৎসায় মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. নুসরাতের মহতী উদ্যোগ: কৃতজ্ঞ শাল্লাবাসী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ইতিবাচক প্রভাব: এক মানবিক ঘটনা।। সিলেটে ৪৫ দিনের শিশুকে গলা কেটে হত্যা, পিতার আত্মহত্যার চেষ্টা, বানিয়াচংয়ে লালন মিয়ার ছাদ বাগানে ৫০ কেজি আঙুর সংগ্রহ: এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। বানিয়াচংয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ফলদ চারা ও কৃষকদের মাঝে সার-বীজ বিতরণ আজ থেকে সারা দেশে একযোগে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু: সিলেট বোর্ডে পরীক্ষার্থী কমেছে ১৩ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবি’র ত্রয়োদশ কংগ্রেসের খসড়া রাজনৈতিক প্রস্তাব নিয়ে হবিগঞ্জে সভা অনুষ্ঠিত।

শাল্লার ললিতার চিকিৎসায় মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. নুসরাতের মহতী উদ্যোগ: কৃতজ্ঞ শাল্লাবাসী

গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. নুসরাত

সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলার কান্দিগাঁও গ্রামের দরিদ্র পরিবারের সদস্য ললিতা দীর্ঘদিন ধরে ওভারিয়ান ক্যানসারে ভুগছিলেন। অর্থাভাব এবং সঠিক সহায়তার অভাবে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করেও তিনি কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসা পাননি।
এমন পরিস্থিতিতে গত ঈদের আগে ললিতা হবিগঞ্জের হেলথকেয়ার হাসপাতালে ডা. কালামের শরণাপন্ন হন। রোগের তীব্রতা বিবেচনা করে ডা. কালাম তাকে ঢাকায় যাওয়ার পরামর্শ দেন। ঈদ পূর্বেই ললিতা ঢাকায় আসেন। কিন্তু ঢাকায় তাদের চিকিৎসা নেওয়ার মতো অর্থ ছিল না, এমনকি বড় হাসপাতালে ভর্তির মতো অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কোনো আত্মীয়ও তাদের সঙ্গে ছিল না। বারবার অসহায়ভাবে ডা. কালামের সঙ্গে যোগাযোগ করায় তিনিও কিছুটা বিচলিত হয়ে পড়েন। বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি) হাসপাতালে ভর্তির সুযোগ বা খরচ বহনের সামর্থ্যও তাদের ছিল না।
এই অবস্থায় ডা. কালাম ললিতাকে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. নুসরাতের কাছে পাঠান। ডা. নুসরাত বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে অনুধাবন করে ললিতাকে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের ফ্রি বেডে ভর্তি করান। এরপর সিটি এমআরআই, এফএনএসি এবং রক্ত সংগ্রহের মতো জটিল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে গত বৃহস্পতিবার (২০২৫ সালের ২৬শে জুন) ডা. নুসরাত এবং তার টিম ললিতার ওভারিয়ান ক্যানসারের সফল অস্ত্রোপচার করেন।
শাল্লার মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় এমন যথাযথ ভূমিকা রাখার জন্য ডা. নুসরাত এবং মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন ডা. কালাম। এই মানবিক উদ্যোগে শাল্লাবাসী বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চা-শ্রমিক পরিবারের মেয়ে ইতির ঢাবিতে ভর্তির সাফল্য: বরমচাল বাগানে আনন্দের ঢেউ।

শাল্লার ললিতার চিকিৎসায় মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. নুসরাতের মহতী উদ্যোগ: কৃতজ্ঞ শাল্লাবাসী

সময় ০৬:৩৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. নুসরাত

সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলার কান্দিগাঁও গ্রামের দরিদ্র পরিবারের সদস্য ললিতা দীর্ঘদিন ধরে ওভারিয়ান ক্যানসারে ভুগছিলেন। অর্থাভাব এবং সঠিক সহায়তার অভাবে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করেও তিনি কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসা পাননি।
এমন পরিস্থিতিতে গত ঈদের আগে ললিতা হবিগঞ্জের হেলথকেয়ার হাসপাতালে ডা. কালামের শরণাপন্ন হন। রোগের তীব্রতা বিবেচনা করে ডা. কালাম তাকে ঢাকায় যাওয়ার পরামর্শ দেন। ঈদ পূর্বেই ললিতা ঢাকায় আসেন। কিন্তু ঢাকায় তাদের চিকিৎসা নেওয়ার মতো অর্থ ছিল না, এমনকি বড় হাসপাতালে ভর্তির মতো অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কোনো আত্মীয়ও তাদের সঙ্গে ছিল না। বারবার অসহায়ভাবে ডা. কালামের সঙ্গে যোগাযোগ করায় তিনিও কিছুটা বিচলিত হয়ে পড়েন। বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি) হাসপাতালে ভর্তির সুযোগ বা খরচ বহনের সামর্থ্যও তাদের ছিল না।
এই অবস্থায় ডা. কালাম ললিতাকে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. নুসরাতের কাছে পাঠান। ডা. নুসরাত বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে অনুধাবন করে ললিতাকে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের ফ্রি বেডে ভর্তি করান। এরপর সিটি এমআরআই, এফএনএসি এবং রক্ত সংগ্রহের মতো জটিল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে গত বৃহস্পতিবার (২০২৫ সালের ২৬শে জুন) ডা. নুসরাত এবং তার টিম ললিতার ওভারিয়ান ক্যানসারের সফল অস্ত্রোপচার করেন।
শাল্লার মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় এমন যথাযথ ভূমিকা রাখার জন্য ডা. নুসরাত এবং মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন ডা. কালাম। এই মানবিক উদ্যোগে শাল্লাবাসী বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ।