
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে চোরাই মোবাইল ফোন উদ্ধার অভিযানে গিয়ে চোর এবং তাদের পরিবারের লোকজনের হামলায় ৬ জন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে শহরের ফুলকলির পেছনের শিবপাশা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে কনস্টেবল ইমরানকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর আহত এসআই মেহেদী, এসআই মাইনুল, এএসআই মোশাররফসহ ৬ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
হামলার ঘটনা ও পুলিশের অভিযান
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শহর ও আশপাশের এলাকায় মোবাইল চুরি ও মাদকের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় নবীগঞ্জ থানার ওসি শেখ কামরুজ্জামানের নির্দেশে পুলিশের বিশেষ অভিযান চলছিল। এরই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই মেহেদী, এসআই মাইনুল ও এএসআই মোশাররফের নেতৃত্বে একদল পুলিশ চোরাই মোবাইল উদ্ধারে শিবপাশা এলাকায় তাৎক্ষণিক অভিযানে যায়।
অভিযান চলাকালীন চোরদের সিন্ডিকেট ও তাদের পরিবারের লোকজন পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। একপর্যায়ে মামুন মিয়া নামে এক যুবক ধারালো দা দিয়ে কোপ দিলে কনস্টেবল ইমরান গুরুতর আহত হন। তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসা এসআইসহ অন্য পুলিশ সদস্যরাও হামলার শিকার হয়ে আহত হন।
খবর পেয়ে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে দা হাতে থাকা মামুন মিয়াসহ ৫ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। আটক মামুন মিয়া নোয়াপাড়া গ্রামের মৃত হিরণ মিয়ার পুত্র এবং তারা দীর্ঘদিন ধরে শিবপাশা এলাকায় বসবাস করে আসছেন। ওই পরিবারের বিরুদ্ধে আরও অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে বলে জানা যায়।
পরে আহত পুলিশ সদস্যদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কনস্টেবল ইমরানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। বাকি আহত সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।