
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে একটি মসজিদ ও পুকুরের জমি দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারী ও পুরুষসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় বানিয়াচং উপজেলার ১ নম্বর উত্তর-পূর্ব ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের হেঙ্গুমিয়া পাড়া মহল্লায়।
হেঙ্গুমিয়া পাড়ার বাসিন্দাদের সঙ্গে হাসই মিয়া, জিতু মিয়া, এলাছ মিয়া ও মখলিছ মিয়ার নেতৃত্বে একটি পক্ষের সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে সংঘর্ষটি মহল্লার চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে আশেপাশের লোকজন পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খায়।
সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে স্থানীয় উপজেলা বিএনপি সদস্য মকসুদ মিয়া তার ফেসবুক থেকে লাইভে এসে বারবার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং দ্রুত সহায়তা চান। লাইভ চলাকালে ১ নম্বর ইউপির সাবেক সদস্য চান মিয়াকে আহত অবস্থায় দেখা যায়।
পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও ঘটনাস্থলে
প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলার পর বানিয়াচং থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর দুটি গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়।
সংঘর্ষের সময় অনেকেই জানান, প্রতিপক্ষরা মহল্লার মসজিদ ও পুকুরের কিছু জায়গা টাকার বিনিময়ে নিজেদের নামে তুলে নেয় এবং সেই জায়গা দাবি করে দখল করতে যায়। এতে মহল্লাবাসী বাধা দিলে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর আগেও জায়গা দখল নিয়ে একাধিকবার সংঘর্ষ হয়েছে এবং দুইবার সালিশের মাধ্যমে বিষয়টির মীমাংসা করা হয়।
সর্বশেষ বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ডা. শাখাওয়াত হাসান জীবন বিষয়টি মীমাংসা করে দিয়েছিলেন। বানিয়াচংয়ের কামালখানি মহল্লার হাসান মঞ্জিল বাড়িতে উভয় পক্ষকে নিয়ে তিনি সালিশ করে মহল্লাবাসীর জায়গা ফেরত দেওয়ার রায় দিয়েছিলেন। সংঘর্ষ চলাকালে হেঙ্গুমিয়া পাড়ার মহল্লাবাসী এবং ওয়ার্ড মেম্বার বলু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।