
হবিগঞ্জের লাখাই বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১১টি দোকান সম্পূর্ণরূপে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে, যা বাজারের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অগ্নিকাণ্ড। এতে প্রায় কোটি টাকার উপরে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত আনুমানিক ১১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
আগুনে ভস্মীভূত হওয়া দোকানগুলোর মধ্যে রয়েছে রাম জয়ের ওষুধের ফার্মেসী, সাংবাদিক আশীষ দাশগুপ্তের হোমিওপ্যাথিক ফার্মেসী, সামাদ্য পালের চায়ের দোকান, আব্দুল মালেক মিয়ার ফলের দোকান, সুসেন দেবনাথের স্বর্ণকারের দোকান, রঞ্জিত শীলের একটি সেলুন ও সুতার দোকান, কর্ণ দেবনাথের পানের দোকান, উপা নন্দের ওষুধের ফার্মেসী এবং সন্তোষ রায়ের একটি দোকান। এছাড়া, পল্লী বিদ্যুতের ১০টির বেশি মিটারও পুড়ে গেছে।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক আশীষ দাশগুপ্ত বলেন, “আমরা প্রতিদিনের মতো দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যাই। হঠাৎ আগুন লাগার খবর পেয়ে এসে দেখি সবকিছু পুড়ে যাচ্ছে। চোখের সামনে প্রায় ২০ থেকে ৪০ হাত উপর পর্যন্ত আগুন জ্বলছিল।” তিনি আরও জানান, এতে তাদের নগদ টাকাসহ কোটি টাকার উপরে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

আগুন লাগার পর বাজারের পাহারাদারদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসেন এবং আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। খবর পেয়ে লাখাই উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থেকে একদল দমকল কর্মী ঘটনাস্থলে রওয়ানা দেন। ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার আব্দুল হান্নান জানান, যাতায়াতের রাস্তা ভালো না থাকায় এবং বটতলায় রাস্তায় পানি জমে থাকায় তাদের ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে অনেক সময় লেগে যায়। তিনি বলেন, “বটতলায় আমাদের প্রায় দেড় ঘন্টা সময় নষ্ট হয়। পরে নৌকা করে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে প্রায় এক ঘন্টা কাজ করে আগুন নেভাতে সক্ষম হই।”
শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ব্যবসায়ীদের পুড়ে যাওয়া দোকানের মালামাল ও নগদ টাকা কয়লায় পরিণত হয়েছে। ব্যবসায়ীদের আহাজারিতে পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে। এ বিষয়ে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বন্দে আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।