
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে গভীর রাতে কিশোরদের দল বেঁধে ঘোরাঘুরি এবং আড্ডা স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। রাত ১২টার পর উপজেলা সদরের প্রধান সড়কগুলোতে তাদের অবাধ বিচরণ দেখা যায়। এতে করে ‘কিশোর গ্যাং’ তৈরি হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন সচেতন নাগরিকরা। তাঁদের মতে, অভিভাবকদের উদাসীনতা এবং যথাযথ তদারকির অভাবই এই অবস্থার প্রধান কারণ।
গভীর রাতে কী ঘটছে?
সরেজমিনে দেখা গেছে, রাত ১২টার পর স্থানীয় বড় বাজারের ডা. জমির আলী মার্কেট থেকে করিম উল্লাহ সড়ক পর্যন্ত ৭-৮ জনের কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে কিশোররা ঘোরাঘুরি করছে। তাদের অনেকের হাতে সিগারেট দেখা যায়। মাঝেমধ্যে তাদের মধ্যে প্রতিপক্ষকে দেখে নেওয়ার মতো উসকানিমূলক কথাবার্তাও শোনা যায়। গভীর রাত পর্যন্ত এই আড্ডা চলতে থাকে এবং প্রায়শই তা শেষ হয় রাত ২টার দিকে কোনো দোকানে চা পানের মাধ্যমে।
স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া
স্থানীয়রা বলছেন, বানিয়াচং একটি গ্রামীণ জনপদ হওয়ায় সাধারণত রাত ১১টার মধ্যে সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু এর পরেই কিশোরদের আনাগোনা বাড়ে। তাদের সঙ্গে কখনো কখনো বিপথগামী যুবকদেরও দেখা যায়। অনেকেই মনে করেন, এই ধরনের আড্ডা থেকে ধীরে ধীরে তারা সিগারেট ও মাদকের মতো ক্ষতিকর জিনিসের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে, যা তাদের ভবিষ্যৎকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে।
সচেতন মহলের দাবি
স্থানীয় সচেতন মহল অভিভাবকদের আরও বেশি দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁদের মতে, রাতের পর রাত বাইরে এভাবে সময় কাটানো কিশোরদের বিপথে যাওয়ার ইঙ্গিত দেয়। দ্রুত এই বিষয়ে নজর দেওয়া না হলে ‘কিশোর গ্যাং’ তৈরি হওয়ার আশঙ্কা আরও বাড়তে পারে। তাঁরা একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন, যাতে কিশোরদের এই অনিয়ন্ত্রিত ঘোরাঘুরি বন্ধ হয় এবং সম্ভাব্য বিপদ এড়ানো যায়।
এব্যাপারে বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন,বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি এই প্রতিবেদক কে জানান।