
সিলেটে এনসিপির পদযাত্রা ও সমাবেশ: ‘জুলাই আন্দোলনের সনদ’ ও ‘মুজিববাদ’ নির্মূলের ডাক
আজ সিলেটে এনপিপি’র পদযাত্রা ও সমাবেশের আয়োজন করে, যেখানে বক্তারা ‘জুলাই আন্দোলনের সনদ’ কার্যকর না হওয়া এবং শহীদ পরিবারের যথাযথ মূল্যায়ন না হওয়ার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একই সাথে তারা ‘মুজিববাদ’ নির্মূলের এবং বিচার বিভাগ ও রাজনৈতিক সংস্কারের উপর জোর দেন।
বিকাল ৫টায় চৌহাট্টা থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে রিকাবীবাজার, মির্জাজাঙ্গাল, তালতলা, বন্দর ও জিন্দাবাজার হয়ে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানেই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী, আখতার হোসেন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, মুখ্য সচিব গোলাম মর্তুজা সেলিম, এবং কেন্দ্রীয় সদস্য ব্যারিস্টার নুরুল হুদা জুনেদ পদযাত্রায় নেতৃত্ব দেন। সিলেট মহানগর ও জেলার বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী এতে অংশ নেন।
পদযাত্রা ও সমাবেশকে কেন্দ্র করে দুপুরের পর থেকেই সিলেটের বিভিন্ন উপজেলা ও পৌরসভা থেকে আসা নেতাকর্মীরা শহীদ মিনারে জড়ো হতে শুরু করেন। বিকেল ৫টার আগেই শহীদ মিনার ও এর আশেপাশের এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সিলেট নগরীতে কয়েক স্তরের কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়। পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনী এবং অন্যান্য বিশেষায়িত বাহিনীর সমন্বয়ে পুরো নগরী নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা ছিল।
সিলেট শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী, আখতার হোসেন, তাসনিম জারা, মুখ্য সচিব গোলাম মর্তুজা সেলিম, দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চল সমন্বয়ক সারজিস আলম, এবং কেন্দ্রীয় সদস্য ব্যারিস্টার নুরুল হুদা জুনেদ প্রমুখ।
বক্তারা তাঁদের বক্তব্যে উল্লেখ করেন, ‘জুলাই আন্দোলনের সনদ’ এখনও শুরু হয়নি এবং শহীদ পরিবারের যথাযথ মূল্যায়ন হয়নি। তাঁরা আরও বলেন, ‘জুলাই আন্দোলন’ এখনও শেষ হয়নি এবং ‘মুজিববাদ’ এখনও সক্রিয়, যা নির্মূল করতে হবে। এনসিপি নেতারা স্পষ্ট করেন যে, তাঁদের সংগ্রাম বিএনপি বা খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নয়, বরং চাঁদাবাজ ও দখলবাজদের বিরুদ্ধে। তাঁরা বলেন, “এদেশে দুষ্কৃতকারীদের ঠাঁই হবে না। দেশটা লুটেরাদের হয়ে গেছে, আমরা এই দেশকে বাংলাদেশের জনগণের দেশ বানাতে চাই।” বক্তারা বিচার বিভাগ ও রাজনৈতিক সংস্কারের দাবিও জানান।