
বৃন্দাবন সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে আগামী মাস থেকে চালু হতে যাচ্ছে ৫টি নতুন বিআরটিসি বাস। এর ফলে দূর-দূরান্ত থেকে আসা শিক্ষার্থীদের কলেজে পৌঁছানো আরও সহজ ও আরামদায়ক হবে। কলেজের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগকে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য-েকয়েক দিন আগে বৃন্দাবন কলেজ কতৃপক্ষ ও সিলেট বিআরটিসি ডিপোর সাথে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী বৃন্দাবন কলেজ কে ৫ বাস সরবরাহ করবে বিআরটিসি সিলেট ডিপো। হবিগঞ্জ বাসীর জন্য আনন্দের খবর। বিআরটিসি ৫ টি বাস প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের জেলার বিভিন্ন রোডে আনানেওয়া করবে।

নতুন রুটগুলোর বিস্তারিত নিচে দেওয়া হলো:
রুট-১
* পথ: বানিয়াচং (বড়বাজার) – ছিলাপাঞ্জা – শরীফউদ্দিন রোড – রত্না বাজার – সুনারু – সুবিদপুর বাজার – বৃন্দাবন সরকারি কলেজ, হবিগঞ্জ।
* এই রুটটি বানিয়াচং এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকার শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী হবে।
রুট-২
* পথ: মাধবপুর – বেজুড়া – জগদীশপুর – নোয়াপাড়া – রতনপুর – শাহজিবাজার – অলিপুর – নূরপুর রেলগেট – নিজামপুর – পাইকপাড়া বাইপাস – পোদ্দারবাড়ি – বৃন্দাবন সরকারি কলেজ, হবিগঞ্জ।
* মাধবপুর ও এর সংলগ্ন অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের কলেজে যাতায়াতের সুবিধা দেবে এই রুট।
রুট-৩
* পথ: বামৈ – কালাউকবাজার – বুল্লা – করাব – আযেঢ়া – ধল – লোকড়া – রিচি – বৃন্দাবন সরকারি কলেজ, হবিগঞ্জ।
* বামৈ এবং আশেপাশের গ্রামের শিক্ষার্থীরা এই রুটের মাধ্যমে সরাসরি কলেজে পৌঁছাতে পারবে।
রুট-৪
* পথ: চুনারুঘাট দক্ষিণবাজার – নতুনবাজার – শ্রীকোটা – দূর্গাপুর – নতুনব্রীজ – পুরানবাজার – শায়েস্তাগঞ্জ রেলস্টেশন – কলিমনগর – পাইকপাড়া – ধুলিয়াখাল – বাইপাস – বৃন্দাবন সরকারি কলেজ, হবিগঞ্জ।
* চুনারুঘাট এবং শায়েস্তাগঞ্জ অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের জন্য এটি একটি সুবিধাজনক রুট হবে।
রুট-৫ (ক ও খ)
এই রুটের দুটি শাখা রয়েছে, যা হবিগঞ্জের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের শিক্ষার্থীদের সেবা দেবে।
* রুট-৫ (ক): আউশকান্দি – দেবপাড়া – পানিউন্দা – পুটিজুরি – বাহুবল – মিরপুর – ধুলিয়াখাল – বৃন্দাবন সরকারি কলেজ, হবিগঞ্জ।
* রুট-৫ (খ): আউশকান্দি – বাংলাবাজার – নবীগঞ্জ – রসুলপুরবাজার – শিবগঞ্জ – ইমামবাড়ি – সিকন্দরপুর – আলীগঞ্জ – বালিখাল – নাগুরা – কামড়াপুর – শ্মশানঘাট – বৃন্দাবন সরকারি কলেজ, হবিগঞ্জ।
এই নতুন বাস সেবাগুলো চালু হলে বৃন্দাবন সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের যাতায়াত সমস্যার অনেকটাই সমাধান হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় আরও মনোযোগ দিতে সাহায্য করবে এবং তাদের সময় ও শ্রম বাঁচাবে।