
আহতদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব আলীরগাঁও ইউনিয়নের গুয়াখাই গ্রামে একটি সালিশ বৈঠক চলাকালে ভূমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ১০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে গুয়াখাই গ্রামের মসজিদে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন গুয়াখাই গ্রামের বাসিন্দা মওলানা রফিকুর রহমান (৬৫), ফয়জুর রহমান (৬৭), মুমিন (৪৮), গুলজার (৩০), সুমন (২৬), সফিক (৬৮) এবং সালিশকারী আজুর উদ্দিন (৬০) ও বিলাল উদ্দিন (৫৫)।
জানা গেছে, মাসখানেক আগে গুয়াখাই গ্রামের গোপাট সংলগ্ন জমিতে একই গ্রামের সমছুর, গিয়াছ, হাবিবুর ও সাহেদের নেতৃত্বে জোরপূর্বক জমি দখল করে বাঁশের খুঁটি স্থাপন করা হয়। এতে জমির মালিক মাওলানা রফিকুর রহমান ও সফিকুর রহমান গং বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য সালিশ বৈঠকের আয়োজন করেন।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে গুয়াখাই গ্রামের মসজিদে সালিশ বৈঠক শুরু হয়। বিচারের শেষ পর্যায়ে সমছু ও গিয়াছ গংরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সালিশ বৈঠকে উপস্থিত লোকজনের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে জমির মালিক পক্ষসহ ১০-১২ জন গুরুতর আহত হন। হামলাকারীরা মসজিদ ব্যারিকেড দিয়ে প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে আহতদের অবরুদ্ধ করে রাখে, যার ফলে মসজিদের বারান্দা রক্তে ভেসে যায়।
খবর পেয়ে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার তোফায়েল আহমেদ তাৎক্ষণিকভাবে এসআই মারুফসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠান। পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতদের অবস্থার অবনতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ (সিওমেক) হাসপাতালে পাঠান।
গোয়াইনঘাট থানার ওসি সরকার তোফায়েল আহমেদ জানিয়েছেন, তিনি খবর পাওয়ার পরপরই দ্রুত আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছেন। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।