
ছবি- সংগৃহীত।
নবীগঞ্জে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ভয়াবহ সংঘাত স্থানীয়দের মধ্যে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। একটি ব্যক্তিগত বিরোধের জেরে চারটি গ্রামের মানুষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে দুজন নিরীহ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে এবং কোটি টাকার সম্পদহানি হয়েছে। এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এক সময়ের শান্তিপ্রিয় নবীগঞ্জের জনপদকে অশান্ত করে তুলেছে।
কেন ব্যর্থ হলো প্রশাসন ও সমাজের দায়িত্বশীলরা?
জনমনে এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো, এমন একটি সংঘাতের সূত্রপাত হওয়ার পরও কেন প্রশাসন, রাজনীতিবিদ এবং সমাজের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা সময়মতো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হলেন? পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আগে যদি সঠিক সময়ে পদক্ষেপ নেওয়া যেত, তবে হয়তো এই প্রাণহানি ও বিপুল আর্থিক ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হতো। তাদের নিষ্ক্রিয়তা বা দেরিতে পদক্ষেপ গ্রহণ জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে

অশান্তির বীজ বপনকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি
নবীগঞ্জের স্থানীয়রা মনে করছেন, যারা এই শান্তিপ্রিয় জনপদে অশান্তি ও বিভেদের বীজ বপন করছে, তাদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা জরুরি। এই ঘটনার নেপথ্যে থাকা মূল হোতাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা না গেলে ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
শান্তি, সম্প্রীতি ও নিরাপত্তা চায় নবীগঞ্জবাসী
নবীগঞ্জের মানুষের এখন একটাই চাওয়া—শান্তি, সম্প্রীতি এবং নিরাপত্তা। তারা চান, ভবিষ্যতে যেন এমন সহিংস ঘটনা আর না ঘটে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের জোর দাবি, এই ঘটনার পেছনে যারা মূল ইন্ধনদাতা, তাদের খুঁজে বের করে কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ এমন অরাজকতা সৃষ্টির সাহস না পায়। স্থানীয়দের প্রত্যাশা, দ্রুততম সময়ে নবীগঞ্জে শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরে আসবে এবং ক্ষতিগ্রস্তরা ন্যায়বিচার পাবেন।