
সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলার কান্দিগাঁও গ্রামের দরিদ্র পরিবারের সদস্য ললিতা দীর্ঘদিন ধরে ওভারিয়ান ক্যানসারে ভুগছিলেন। অর্থাভাব এবং সঠিক সহায়তার অভাবে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করেও তিনি কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসা পাননি।
এমন পরিস্থিতিতে গত ঈদের আগে ললিতা হবিগঞ্জের হেলথকেয়ার হাসপাতালে ডা. কালামের শরণাপন্ন হন। রোগের তীব্রতা বিবেচনা করে ডা. কালাম তাকে ঢাকায় যাওয়ার পরামর্শ দেন। ঈদ পূর্বেই ললিতা ঢাকায় আসেন। কিন্তু ঢাকায় তাদের চিকিৎসা নেওয়ার মতো অর্থ ছিল না, এমনকি বড় হাসপাতালে ভর্তির মতো অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কোনো আত্মীয়ও তাদের সঙ্গে ছিল না। বারবার অসহায়ভাবে ডা. কালামের সঙ্গে যোগাযোগ করায় তিনিও কিছুটা বিচলিত হয়ে পড়েন। বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি) হাসপাতালে ভর্তির সুযোগ বা খরচ বহনের সামর্থ্যও তাদের ছিল না।
এই অবস্থায় ডা. কালাম ললিতাকে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. নুসরাতের কাছে পাঠান। ডা. নুসরাত বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে অনুধাবন করে ললিতাকে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের ফ্রি বেডে ভর্তি করান। এরপর সিটি এমআরআই, এফএনএসি এবং রক্ত সংগ্রহের মতো জটিল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে গত বৃহস্পতিবার (২০২৫ সালের ২৬শে জুন) ডা. নুসরাত এবং তার টিম ললিতার ওভারিয়ান ক্যানসারের সফল অস্ত্রোপচার করেন।
শাল্লার মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় এমন যথাযথ ভূমিকা রাখার জন্য ডা. নুসরাত এবং মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন ডা. কালাম। এই মানবিক উদ্যোগে শাল্লাবাসী বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ।