
সিলেট জেলার ব্যবসায়ী, মালিক, শ্রমিক ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে সিলেটে ৫টি পাথর কোয়ারি ইজারা স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার, ট্রাক শ্রমিকদের হয়রানি বন্ধ এবং ক্রাশার মিল মালিকদের ক্রাশার ব্যবহারে সুযোগ করে দেওয়ার দাবিতে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বেলা ১১ টার সময় সিলেট নগরীর আম্বরখানা এলাকা থেকে পাথর–সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী মালিক-শ্রমিকেরা বিক্ষোভ মিছিল করে নগরীর চৌহাট্টা এলাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে জড়ো হন। পরে সেখানে বিভিন্ন ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। পরে বেলা দেড়টায় চৌহাট্টা এলাকা থেকে বন্দরবাজার মোড় পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করেন পাথর কোয়ারী সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

উক্ত কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন সিলেট জেলা পাথর–সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল জলিল। ঐক্য পরিষদের সম্বন্নয়ক শাব্বীর আহমদের পরিচালনায় কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী,জামায়াতে ইসলামী সিলেট মহানগরের আমির ফখরুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীন, জাতীয় নাগরিক পার্টি সিলেট জেলার প্রধান সমন্বয়কারী নাজিম উদ্দীন সাহান, যুগ্ম সমন্বয়কারী হিসেবে মেজর (অব.) মোস্তফা আনওয়ারুল আজিজ সিলেট জেলা ট্রাক পিকআপ কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি দিলু মিয়া, কার্যকরী সভাপতি আবদুস সালাম, সদস্য আলী আহমদ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সিলেটের ভোলাগঞ্জ, বিছনাকান্দি, জাফলং, লোভাছড়া ও শ্রীপুর পাথর কোয়ারির ইজারা স্থগিতাদেশের কারণে হাজার হাজার ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও তাদের পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
বক্তাগণ তিনটি দাপে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। প্রথম ধাপে ২৮ জুন (শনিবার) সিলেটের সব পাথর কোয়ারি থেকে লোড-আনলোড পয়েন্টে মালিক-শ্রমিকদের ৪৮ ঘণ্টা কর্মবিরতি। দাবি পূরণ না হলে ৩০ জুন থেকে সিলেটের সব পণ্য পরিবহনের মালিক-শ্রমিকদের ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতি ও ২ জুলাই থেকে সিলেটে জেলার সব ধরনের পণ্য পরিবহন ও গণপরিবহনে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরিতি চালিয়ে যাবার ঘোষণা দেন মানববন্ধনে।
বক্তাগণ পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় ক্রাশার মিল মালিকরাও তাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে পারছেন না, যার ফলে সামগ্রিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

বক্তারা আরও অভিযোগ করেন, পাথর পরিবহনকারী ট্রাক শ্রমিকদের অযথা হয়রানি করা হচ্ছে। তারা এই হয়রানি অবিলম্বে বন্ধের দাবি জানান। একইসাথে, ক্রাশার মিল মালিকদের তাদের মিলগুলো ব্যবহার করে পাথর ভাঙার অনুমতি দেওয়ারও জোর দাবি জানান তারা।
মানববন্ধনে বক্তারা সরকারের কাছে অবিলম্বে সিলেটের ৫টি পাথর কোয়ারির ইজারা স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার, ট্রাক শ্রমিকদের হয়রানি বন্ধ এবং ক্রাশার মিল মালিকদের ক্রাশার ব্যবহারের সুযোগ করে দেওয়ার জোর দাবি জানান। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তারা।