
ছবি- সাদেক আলী খান ।
সিলেট নগরীর অন্যতম ব্যস্ত সড়ক আম্বরখানা এয়ারপোর্ট সড়ক। এই সড়কটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে হোটেল পলাশ পর্যন্ত দীর্ঘ দিন ধরে বেহাল দশায় পড়ে আছে। সড়কের দুই পাশের ভাঙাচোরা অবস্থা, খানাখন্দ আর বড় বড় গর্ত জনজীবনে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি করেছে। সামান্য বৃষ্টিতেই কাদা-পানিতে একাকার হয়ে যায় সড়কটি, যা পথচারী ও আম্বরখানা জামে মসজিদের মুসল্লীগণ সমস্যায় পড়েন। কাদামাটি যুক্ত রাস্তা পাড় হয়ে মসজিদে প্রবেশ করতে হয়। পাশাপাশি যানবাহন চলাচলের জন্য দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে।
চরম দুর্ভোগে আছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পথচারীরাগণ।
এই সড়কের বেহাল দশার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন আম্বরখানা এলাকার ব্যবসায়ীরা। ভাঙাচোরা সড়কের কারণে ক্রেতারা দোকানে আসতে অনীহা প্রকাশ করছেন, ফলে ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন বলেও অনেকের অভিযোগ। এছাড়াও সড়কের ফুটপাত দখল করে দোকান বসানোর কারণে পথচারীদের চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে। সরু ফুটপাত দিয়ে হাঁটাচলা করতে গিয়ে প্রায়শই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন অনেকে।
স্থানীয় প্রশাসন মাঝে মাঝে ইট-সুড়কি দিয়ে গর্তগুলো ভরাট করার উদ্যোগ নিলেও তা সাময়িক উপশম মাত্র। সামান্য বৃষ্টিতেই মেরামতের কাজ ভেস্তে যায় এবং সড়কটি পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে। এই অপরিকল্পিত ও লোক দেখানো মেরামতের কারণে সরকারি অর্থের অপচয় হচ্ছে এবং জনদুর্ভোগ লাঘব হচ্ছে না।
এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরা দ্রুত এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তাদের দাবি, সড়কটি স্থায়ী ভাবে দ্রুত সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করা হোক এবং ফুটপাত দখলমুক্ত করে পথচারীদের নির্বিঘ্ন চলাচলের ব্যবস্থা করা হউক।
সিলেট একটি পর্যটন নগরী। এই সড়ক দিয়ে ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর, বিছানা কান্দি ও রাতারগুলের প্রতিদিন ছোট বড় মিলে শত শত পর্যটকবাহী গাড়ী চলাচল করে। সন্ধ্যার পর শতশত ভারী ট্রাক এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। তখন বৃষ্টি হলে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে ট্রাকগুলো চলাচল করতে দেখা যায়। প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক আসাযাওয়া করেন এই শহরে।
সড়কের এমন বেহাল দশা পর্যটকদের কাছে নগরীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে। তাই দ্রুত এই সড়কের সংস্কার করে সিলেট-কে একটি সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন সচেতন মহল।