সিলেট ১১:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
News Title :
‎৪০ পিস ইয়াবাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার। ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাশের হার ৬৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ । জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জন শিক্ষার্থী । বানিয়াচং আমির খানীর বাসিন্দা আলহাজ্ব‎ মাওলানা মসউদ হাসানের ইন্তেকাল সেপটিক ট্যাংকে পড়ে ৪ তরুণের মর্মান্তিক মৃত্যু: এলাকায় শোকের ছায়া। ‎টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে ঐতিহ্যবাহী ধুয়া গানের পুনরুজ্জীবন: ইউনুস বয়াতি ও ওয়াসিম বয়াতির মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা ‎এসএসসি পরীক্ষার্থী জনি দাস হত্যা: আসামি সাজু মিয়া ৩ দিনের রিমান্ডে, জনতার উত্তম-মধ্যম ‎সিলেটে বিপণীবিতানগুলোতে ইচ্ছেমতো পার্কিং ফি আদায়, ক্ষুব্ধ নগরবাসী। ‎নবীগঞ্জে ভয়াবহ সংঘাত: জনমনে প্রশ্ন, দাবি শান্তির বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি শিক্ষা বৃত্তি-২০২৪ প্রদান: সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সফল আয়োজন । ‎গুপ্ত টি হাউজ: শ্রীমঙ্গলের এক বিশ্বস্ত নাম

লাখাইয়ে নির্মাণাধীন ভবনে কাজ করতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু, রহস্য ঘনীভূত

হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায় এক নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে পড়ে আবিদুর রহমান (২০) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (১৭ জুন) বিকেল ৩টার দিকে। আবিদুর আজমিরীগঞ্জ উপজেলার জলশুকা ইউনিয়নের গাজী মিয়ার ছেলে। তার এই আকস্মিক মৃত্যু স্থানীয়দের মধ্যে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
সিংহ গ্রামে মৃত আমীর আলীর ছেলে জাহির উদ্দিন মাওলানার নির্মাণাধীন বাড়িতে কাজ করার সময় আবিদুরের এই মর্মান্তিক পরিণতি হয়। ঘটনার সময় বাড়ির মালিক জহির উদ্দিন মাওলানা সেখানে উপস্থিত ছিলেন না বলে জানা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ইনছাদ আলী জানান, বিকেলে বাজারে যাওয়ার পথে তিনি আবিদুরকে নির্মাণাধীন বাড়ির পাশে পড়ে থাকতে দেখেন। দ্রুত তাকে স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। আবিদুরের সাথে কাজ করা রাজমিস্ত্রিরা তখন জানান, আবিদুর হয়তো ওপর থেকে পড়ে গেছেন। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, আবিদুর প্রায় ৭ ফুট উঁচু একটি দেয়ালের ওপর কাজ করছিলেন। সে সময় তার হাতে একটি কাঁচা বাঁশ ছিল এবং পাশেই বিদ্যুতের তার ছিল। তাদের ধারণা, বাঁশ থেকে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট হয়ে আবিদুরের মৃত্যু হয়েছে। তবে, অনেকেই আবার মনে করছেন তিনি স্ট্রোক করে মারা গেছেন।
স্থানীয় আরেক ব্যক্তি লিটন মোল্লা জানান, “আমরা হঠাৎ করে দেখি জহির উদ্দিন মাওলানার নির্মাণাধীন ঘরের নিচে আবিদুর রহমান পড়ে আছেন। অন্য মিস্ত্রিদের জিজ্ঞেস করলে তারা জানান, আবিদুর রহমান তাদের সঙ্গেই কাজ করছিলেন। কখন ওপর থেকে নিচে পড়লেন, তা তারা জানেন না। আমরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আমার ধারণা, অসাবধানতাবশত কাজ করার ফলেই সে পড়ে গিয়ে মারা গেছে।”
আবিদুরের মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বন্দে আলীকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এই ঘটনার পেছনের রহস্য উন্মোচনে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

‎৪০ পিস ইয়াবাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার।

লাখাইয়ে নির্মাণাধীন ভবনে কাজ করতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু, রহস্য ঘনীভূত

সময় ০৬:০৯:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায় এক নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে পড়ে আবিদুর রহমান (২০) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (১৭ জুন) বিকেল ৩টার দিকে। আবিদুর আজমিরীগঞ্জ উপজেলার জলশুকা ইউনিয়নের গাজী মিয়ার ছেলে। তার এই আকস্মিক মৃত্যু স্থানীয়দের মধ্যে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
সিংহ গ্রামে মৃত আমীর আলীর ছেলে জাহির উদ্দিন মাওলানার নির্মাণাধীন বাড়িতে কাজ করার সময় আবিদুরের এই মর্মান্তিক পরিণতি হয়। ঘটনার সময় বাড়ির মালিক জহির উদ্দিন মাওলানা সেখানে উপস্থিত ছিলেন না বলে জানা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ইনছাদ আলী জানান, বিকেলে বাজারে যাওয়ার পথে তিনি আবিদুরকে নির্মাণাধীন বাড়ির পাশে পড়ে থাকতে দেখেন। দ্রুত তাকে স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। আবিদুরের সাথে কাজ করা রাজমিস্ত্রিরা তখন জানান, আবিদুর হয়তো ওপর থেকে পড়ে গেছেন। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, আবিদুর প্রায় ৭ ফুট উঁচু একটি দেয়ালের ওপর কাজ করছিলেন। সে সময় তার হাতে একটি কাঁচা বাঁশ ছিল এবং পাশেই বিদ্যুতের তার ছিল। তাদের ধারণা, বাঁশ থেকে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট হয়ে আবিদুরের মৃত্যু হয়েছে। তবে, অনেকেই আবার মনে করছেন তিনি স্ট্রোক করে মারা গেছেন।
স্থানীয় আরেক ব্যক্তি লিটন মোল্লা জানান, “আমরা হঠাৎ করে দেখি জহির উদ্দিন মাওলানার নির্মাণাধীন ঘরের নিচে আবিদুর রহমান পড়ে আছেন। অন্য মিস্ত্রিদের জিজ্ঞেস করলে তারা জানান, আবিদুর রহমান তাদের সঙ্গেই কাজ করছিলেন। কখন ওপর থেকে নিচে পড়লেন, তা তারা জানেন না। আমরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আমার ধারণা, অসাবধানতাবশত কাজ করার ফলেই সে পড়ে গিয়ে মারা গেছে।”
আবিদুরের মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বন্দে আলীকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এই ঘটনার পেছনের রহস্য উন্মোচনে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।