
মানবসেবার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বানিয়াচং ইসলামিক সমাজ সেবা ঐক্য পরিষদ ওমান সালালাহ। “মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য” – এই ব্রতকে ধারণ করে সংগঠনটি ওমানে মৃত্যুবরণকারী বানিয়াচংয়ের কামরুল আলম (৫০) এর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে। তাদের সহযোগিতায় কামরুল আলমের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে এবং পরবর্তীতে পরিবারকে ১ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।ঈদুল আযহার আগের দিন কামরুল আলমের পরিবারের হাতে নগদ ১ লক্ষ টাকা তুলে দেন বানিয়াচং উপজেলা বিএনপির সভাপতি মুজিবুল হোসেন মারুফ এবং সাধারণ সম্পাদক নকিব ফজলে রকিব মাখন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বানিয়াচং ৪নং দক্ষিণ পশ্চিম ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মামুন, জাসাস সভাপতি আরশাদ ফজলে খোদা লিটন, আজমিরীগঞ্জ উপজেলার খাদ্য পরিদর্শক আমিনুল হক চৌধুরী, বাংলাদেশ ছাত্রসমাজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক পিয়ানুর আহমেদ হাসান, বানিয়াচং প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও মানবজমিন প্রতিনিধি মখলিছ মিয়া এবং বানিয়াচং মডেল প্রেস ক্লাবের সভাপতি জীবন আহমেদ লিটন।মরদেহের দেশে ফেরা ও কাগজপত্র সংগ্রহে সহায়তা করেন প্রবাসীরা।বানিয়াচং ৪ নং দক্ষিণ-পশ্চিম ইউপির কালিকাপাড়ার বাসিন্দা কামরুল আলম ওমান সালালাহ সুলতান কাবুজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। বানিয়াচং প্রবাসী ইসলামিক সমাজ সেবা ঐক্য পরিষদ ওমান সালালাহ এই সামাজিক সংগঠনটি তার মরদেহ দেশে পাঠানোর প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করে। সংগঠনের সহ-সভাপতি মোঃ তফুর মিয়া এবং সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মৃত কামরুল আলমের ডেথ সার্টিফিকেটসহ প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র সংগ্রহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এছাড়াও অর্থ সম্পাদক উজ্জ্বল মিয়া, সহ-অর্থ সম্পাদক তোফাজ্জল হুসেন, সহ-সভাপতি মাহমুদ মিয়া, রবিউল জমাদার নুর আল, জুনাইদ, আনারুল, প্রচার সম্পাদক মুবিনসহ আরও অনেকে এই মানবিক কার্যক্রমে সহযোগিতা করেন।সরকারি সহায়তার জন্য প্রবাস কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সংগঠনটির পক্ষ থেকে এর আগেও কামরুল আলমের পরিবারকে ৭৪ হাজার টাকা আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছিল। সংগঠনের সহ-সভাপতি তফুর মিয়া জানান, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কামরুল আলমের পরিবারকে ৩ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা প্রদানের কথা থাকলেও ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন অজুহাতে কালক্ষেপণ করছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে যেন এই টাকাগুলো কামরুল আলমের পরিবার পায়, সেজন্য তিনি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।