
সিলেটের ঐতিহ্যবাহী মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদে নিযুক্ত হয়েছেন প্রফেসর মো. আকমল হোসেন। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বিদায়ী অধ্যক্ষ প্রফেসর আবুল আনাম মো. রিয়াজের কাছ থেকে তিনি এই দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। এমসি কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী হিসেবে তাঁর এই নতুন ভূমিকা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
প্রফেসর আকমল হোসেন: এক নজরে
প্রফেসর মো. আকমল হোসেন অষ্টাদশ বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা। তিনি ১৯৯০ সালে এমসি কলেজ থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক এবং ১৯৯১ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৯৭ সালে কানাইঘাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করার পর, ১৯৯৯ সালের ২৫ জানুয়ারি তিনি অষ্টাদশ বিসিএস কর্মকর্তা হিসেবে নোয়াখালীর কবিরহাট সরকারি কলেজে প্রভাষক পদে যোগদান করেন।
কর্মজীবনে তিনি সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজেও শিক্ষকতা করেছেন এবং ২০০১ সালের শেষের দিকে এমসি কলেজে যোগদান করেন। এরপর তিনি বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজে এবং মৌলভীবাজার সরকারি কলেজেও দায়িত্ব পালন করেন। ২০২১ সালে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে তিনি আবারও এমসি কলেজে ফিরে আসেন।
তাঁর নিরলস প্রচেষ্টা ও শিক্ষাক্ষেত্রে অবদানের ফলস্বরূপ, ২০২৪ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে তিনি এমসি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন। একই বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর তিনি অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান এবং গত ৮ অক্টোবর এমসি কলেজের উপাধ্যক্ষ হিসেবে তাঁর পদোন্নতি হয়। অর্থনীতি বিষয়ে তাঁর পাঁচটি মূল্যবান গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে, যা তাঁর গভীর পাণ্ডিত্য ও গবেষণার পরিচয় বহন করে।
নতুন দায়িত্বে প্রফেসর আকমল হোসেনের ভাবনা
নিজের নতুন দায়িত্ব সম্পর্কে প্রফেসর মো. আকমল হোসেন বলেন, “উপাধ্যক্ষ হওয়ার পর থেকেই আমি শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করছি। আমাদের প্রশাসনের সম্মিলিত উদ্যোগের কারণে এখন কলেজে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। আমি সবসময় একাডেমিক পাঠদানকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এসেছি এবং আমার লক্ষ্য থাকবে ক্যাম্পাসকে আরও বেশি শিক্ষার্থীমুখর করে তোলা। একটি সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস আমার একান্ত চাওয়া। এই ক্যাম্পাসকে সবার জন্য আরও সুন্দর ও কার্যকরী করে তুলতে আমি সকলের সহযোগিতা কামনা করি। আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যেন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পালন করতে পারি, সেজন্য আমি সকলের দোয়া ও সমর্থন চাই।”
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার এমসি কলেজের ৫৩তম অধ্যক্ষ প্রফেসর আবুল আনাম মো. রিয়াজ অবসরোত্তর ছুটিতে গমন করায় প্রফেসর মো. আকমল হোসেনের নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো।