সিলেট ১২:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
News Title :
এসএমপি’তে দুই পুলিশ সদস্যের র‍্যাংক ব্যাজ পরিধান আজমিরীগঞ্জে জমি সংক্রান্তবিরোধের জেরে এক ব্যক্তি নিহত লাখাইয়ে সাংবাদিক প্রোটন দাশ গুপ্তের ২৫তম প্রয়াণ দিবস ও স্মরণসভা অনুষ্ঠিত আজ ১৪ জুন, সাংবাদিক প্রোটনদাশগুপ্তের ২৫তম প্রয়াণ দিবস। বানিয়াচংয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত, ৫৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের বানিয়াচংয়ে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির প্রান্তিক মানুষের সেবায় আলোর দিশারী।। লাখাইয়ের হাটবাজারে এখন পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বাকরখানি বানিয়াচংয়ে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির: আগামীকাল উদ্বোধন করবেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার।। বানিয়াচং ইসলামিক সমাজ সেবা ঐক্য পরিষদ ওমান সালালার উদ্যোগে মৃত প্রবাসীর পরিবারকে আর্থিক সহায়তা সালমানের টুইট, প্রীতির চোখ টিপ আর আইয়ারে ঘুরে দাঁড়ানো—এ যেন বলিউডি চিত্রনাট্য

শ্রমিকদের আশ্রয়স্থল: শ্রম আদালত

শ্রমজীবী মানুষের অধিকার রক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হলো শ্রম আদালত। সিলেটে নবসৃষ্ট শ্রম আদালতের যাত্রা শুরু হয় ১৩ ফেব্রæয়ারি ২০২০ তারিখে, যখন বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ জনাব সহিদুল ইসলাম মাননীয় চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এর ফলে চট্টগ্রামের দ্বিতীয় শ্রম আদালতের আওতায় থাকা শ্রমিকগণ এখন সিলেটেই তাদের ন্যায়বিচার প্রার্থনা করতে পারছেন। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, সঠিক প্রচারণার অভাবে সিলেট ও হবিগঞ্জ অঞ্চলের হাজার হাজার শ্রমিক, বিশেষ করে চা বাগান ও শিল্প এলাকায় কর্মরত শ্রমিকগণ এই আদালতের সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে অজ্ঞ থাকায় এখনও বঞ্চিত হচ্ছেন।শ্রম আদালতের গুরুত্ব ও এখতিয়ার-বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ একটি পূর্ণাঙ্গ আইন, যার আওতায় শ্রম সংক্রান্ত সমস্ত অপরাধের বিচার শ্রম আদালতে করার বিধান রয়েছে। এই আদালতের রয়েছে দেওয়ানি ও ফৌজদারি উভয় ধরনের এখতিয়ার। একজন শ্রমিক যেভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হোন না কেন, তিনি এই আদালতের শরণাপন্ন হতে পারেন।কে কে মামলা দায়ের করতে পারেন?শ্রম আদালতে ৫ ধরনের ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান মামলা দায়ের করতে পারেন: ১. সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বা সংশ্লিষ্ট ট্রেড ইউনিয়ন;২. ট্রেড ইউনিয়নের অর্থ আত্মসাতের ক্ষেত্রে শ্রম পরিচালক;৩. ভবিষ্য তহবিল আত্মসাতের ক্ষেত্রে ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান বা নিয়ন্ত্রক;৪. প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত অপরাধে যোগ্য কর্তৃপক্ষ;৫. অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রধান পরিদর্শক বা নির্ধারিত কোনো কর্মকর্তা;শ্রম আদালতে যে ধরনের মামলা দায়ের করা হয়: বকেয়া মজুরি আদায়, নোটিশ ছাড়া চাকরিচ্যুত করলে (লেঅফ/বরখাস্ত/ছাটাই/অব্যাহতি/ডিসচার্জ/টারমিনেশন), কাজে পূনর্বহাল এর জন্য আবেদন, কার্যকালে দুর্ঘটনাজনিত কারণে শ্রমিকের জখমের জন্য ক্ষতিপূরণ প্রাপ্ত না হলে, বীমা সুবিধার আওতায় থাকলেতা না পাইলে, আইনের বিধানের খেলাপ করে মজুরি কর্তন না করা হইলে, গ্রাচুইটি বা ভবিষ্য তহবিলের প্রাপ্য পরিশোধে বিলম্বে ঘটে, বকেয়া থাকা অবস্থায় কোনো প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলে এমন সব বিষয়ে একজন শ্রমিক বা তার উত্তারাধিকরীগণ শ্রম আদালতের আইনগত সকল অধিকার আদায়ের জন্য আশ্রয় নিতে পারবেন।মামলা দায়েরের পদ্ধতি:১. প্রথম ধাপ: মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তা জানার ৩০ দিনের মধ্যে লিখিতভাবে মালিককে অভিযোগ জানান।২. পরবর্তী ধাপ: মালিক ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত করে শুনানির সুযোগ দিয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন।৩. পরবর্তী পদক্ষেপ: মালিক সিদ্ধান্ত না দিলে বা শ্রমিক সন্তুষ্ট না হলে, সিদ্ধান্তের ৩০ দিনের মধ্যে শ্রম আদালতে অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন।শুনানি ও আপিল:শ্রম আদালত উভয় পক্ষকে শুনানি দিয়ে বিচার করে আদেশ দেন। আদেশে অসন্তুষ্ট হলে ৩০ দিনের মধ্যে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করা যায়।কোর্ট ফি:শ্রম আদালতে কোনো কোর্ট ফি দিতে হয় না। আর্থিক সামর্থ্য না থাকলে সরকার বিনামূল্যে আইনি সহায়তা প্রদান করে, যা সিলেট শ্রম আদালতেও পাওয়া যায়।মামলা দায়েরের সময়সীমা:মজুরি প্রদেয় হওয়ার তারিখ থেকে ১২ মাসের মধ্যে মামলা করতে হয়। যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারলে সময়সীমা উত্তীর্ণ হলেও মামলা করা যায়। একই অভিযোগে একাধিক শ্রমিক একসঙ্গে আবেদন করতে পারেন।মৃত বা নিখোঁজ শ্রমিকের পাওনা:মনোনীত ব্যক্তি বা আইনগত উত্তরাধিকারীকে অর্থ প্রদান করা হবে। ১২ মাসের মধ্যে খুঁজে না পাওয়া গেলে অর্থ জমা হবে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে। ১০ বছরের মধ্যে উত্তরাধিকারীর খোঁজ না মিললে অর্থটি ফাউন্ডেশনের নিজস্ব সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হবে।প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরির ক্ষেত্রে মামলা করা যাবে কি?হ্যাঁ, অবশ্যই। অবশ্যই মামলা করা যাবে। সিলেট তথা হবিগঞ্জ অঞ্চলে এখন অনেক শিল্প পার্ক বা শিল্প অঞ্চল আছে। সেখানেও যদি ‘‘বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬’’ এর ব্যত্যয় ঘটে সেই ক্ষেত্রে শ্রম আদালতে মামলা দায়ের করা যাবে। প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরির ক্ষেত্রে পদচ্যুত করতে হলে ৩ মাস আগে নোটিশ দিতে হয়। তা না দিয়ে চাকরিচ্যুত করা হলে এবং পাওনা বাকি থাকলে প্রথমে মালিক পক্ষ বরাবর আবেদন জানাতে হবে। তাতেও পরিশোধ না করলে শ্রম আদালতে মামলা করতে পারেন। অর্থাৎ বকেয়া পাওনা না পেলে মালিককে আবেদন করতে হয়, না মানলে আদালতে মামলা করা যায়।বেতন বকেয়া থাকা অবস্থায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলে করণীয়:মালিককে পাওনা পরিশোধে প্রথমে লিগ্যাল নোটিশ দিতে পারেন। নোটিশের পর পরিশোধ না করলে আপনি শ্রম আদালতে মামলা দায়ের করে প্রাপ্য আদায় করতে পারেন।মামলা নিষ্পত্তির পর করণীয়:শ্রম আদালতে রায় পেলে বসে থাকলে চলবে না। মালিক পক্ষ আপীল করলে আপীল আদালতে মামলা পরিচালনা করতে হবে। রায় কার্যকর না হলে আইনগত পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে হবে।শেষ কথা:একটা সময় ছিল যখন শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের জন্য চট্টগ্রামে গিয়ে মামলা পরিচালনা করতে হতো। সিলেটের শ্রমিকরা দূরত্ব ও হয়রানীর ভয়ে নিজের প্রাপ্যটুকু আদায় করা হতে নিরুৎসাহিত হতেন। সিলেটে শ্রম আদালত প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শ্রমিকদের জন্য ন্যায়বিচারের পথ অনেক সহজ হয়েছে। তবে সচেতনতার অভাব এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সংগঠনগুলোর অবহেলার কারণে এই সুবিধাগুলো অনেক শ্রমিকের কাছে এখনও অজানাই রয়ে গেল। । সকল শ্রমিকবান্ধব প্রতিষ্ঠান, সংগঠন এবং সচেতন নাগরিকদের একযোগে এগিয়ে এসে শ্রমিকদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা জরুরী।

লেখক : আইনজীবী, শ্রম আদালত, সিলেট।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

এসএমপি’তে দুই পুলিশ সদস্যের র‍্যাংক ব্যাজ পরিধান

শ্রমিকদের আশ্রয়স্থল: শ্রম আদালত

সময় ১২:৪৪:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

শ্রমজীবী মানুষের অধিকার রক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হলো শ্রম আদালত। সিলেটে নবসৃষ্ট শ্রম আদালতের যাত্রা শুরু হয় ১৩ ফেব্রæয়ারি ২০২০ তারিখে, যখন বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ জনাব সহিদুল ইসলাম মাননীয় চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এর ফলে চট্টগ্রামের দ্বিতীয় শ্রম আদালতের আওতায় থাকা শ্রমিকগণ এখন সিলেটেই তাদের ন্যায়বিচার প্রার্থনা করতে পারছেন। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, সঠিক প্রচারণার অভাবে সিলেট ও হবিগঞ্জ অঞ্চলের হাজার হাজার শ্রমিক, বিশেষ করে চা বাগান ও শিল্প এলাকায় কর্মরত শ্রমিকগণ এই আদালতের সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে অজ্ঞ থাকায় এখনও বঞ্চিত হচ্ছেন।শ্রম আদালতের গুরুত্ব ও এখতিয়ার-বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ একটি পূর্ণাঙ্গ আইন, যার আওতায় শ্রম সংক্রান্ত সমস্ত অপরাধের বিচার শ্রম আদালতে করার বিধান রয়েছে। এই আদালতের রয়েছে দেওয়ানি ও ফৌজদারি উভয় ধরনের এখতিয়ার। একজন শ্রমিক যেভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হোন না কেন, তিনি এই আদালতের শরণাপন্ন হতে পারেন।কে কে মামলা দায়ের করতে পারেন?শ্রম আদালতে ৫ ধরনের ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান মামলা দায়ের করতে পারেন: ১. সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বা সংশ্লিষ্ট ট্রেড ইউনিয়ন;২. ট্রেড ইউনিয়নের অর্থ আত্মসাতের ক্ষেত্রে শ্রম পরিচালক;৩. ভবিষ্য তহবিল আত্মসাতের ক্ষেত্রে ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান বা নিয়ন্ত্রক;৪. প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত অপরাধে যোগ্য কর্তৃপক্ষ;৫. অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রধান পরিদর্শক বা নির্ধারিত কোনো কর্মকর্তা;শ্রম আদালতে যে ধরনের মামলা দায়ের করা হয়: বকেয়া মজুরি আদায়, নোটিশ ছাড়া চাকরিচ্যুত করলে (লেঅফ/বরখাস্ত/ছাটাই/অব্যাহতি/ডিসচার্জ/টারমিনেশন), কাজে পূনর্বহাল এর জন্য আবেদন, কার্যকালে দুর্ঘটনাজনিত কারণে শ্রমিকের জখমের জন্য ক্ষতিপূরণ প্রাপ্ত না হলে, বীমা সুবিধার আওতায় থাকলেতা না পাইলে, আইনের বিধানের খেলাপ করে মজুরি কর্তন না করা হইলে, গ্রাচুইটি বা ভবিষ্য তহবিলের প্রাপ্য পরিশোধে বিলম্বে ঘটে, বকেয়া থাকা অবস্থায় কোনো প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলে এমন সব বিষয়ে একজন শ্রমিক বা তার উত্তারাধিকরীগণ শ্রম আদালতের আইনগত সকল অধিকার আদায়ের জন্য আশ্রয় নিতে পারবেন।মামলা দায়েরের পদ্ধতি:১. প্রথম ধাপ: মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তা জানার ৩০ দিনের মধ্যে লিখিতভাবে মালিককে অভিযোগ জানান।২. পরবর্তী ধাপ: মালিক ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত করে শুনানির সুযোগ দিয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন।৩. পরবর্তী পদক্ষেপ: মালিক সিদ্ধান্ত না দিলে বা শ্রমিক সন্তুষ্ট না হলে, সিদ্ধান্তের ৩০ দিনের মধ্যে শ্রম আদালতে অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন।শুনানি ও আপিল:শ্রম আদালত উভয় পক্ষকে শুনানি দিয়ে বিচার করে আদেশ দেন। আদেশে অসন্তুষ্ট হলে ৩০ দিনের মধ্যে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করা যায়।কোর্ট ফি:শ্রম আদালতে কোনো কোর্ট ফি দিতে হয় না। আর্থিক সামর্থ্য না থাকলে সরকার বিনামূল্যে আইনি সহায়তা প্রদান করে, যা সিলেট শ্রম আদালতেও পাওয়া যায়।মামলা দায়েরের সময়সীমা:মজুরি প্রদেয় হওয়ার তারিখ থেকে ১২ মাসের মধ্যে মামলা করতে হয়। যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারলে সময়সীমা উত্তীর্ণ হলেও মামলা করা যায়। একই অভিযোগে একাধিক শ্রমিক একসঙ্গে আবেদন করতে পারেন।মৃত বা নিখোঁজ শ্রমিকের পাওনা:মনোনীত ব্যক্তি বা আইনগত উত্তরাধিকারীকে অর্থ প্রদান করা হবে। ১২ মাসের মধ্যে খুঁজে না পাওয়া গেলে অর্থ জমা হবে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে। ১০ বছরের মধ্যে উত্তরাধিকারীর খোঁজ না মিললে অর্থটি ফাউন্ডেশনের নিজস্ব সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হবে।প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরির ক্ষেত্রে মামলা করা যাবে কি?হ্যাঁ, অবশ্যই। অবশ্যই মামলা করা যাবে। সিলেট তথা হবিগঞ্জ অঞ্চলে এখন অনেক শিল্প পার্ক বা শিল্প অঞ্চল আছে। সেখানেও যদি ‘‘বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬’’ এর ব্যত্যয় ঘটে সেই ক্ষেত্রে শ্রম আদালতে মামলা দায়ের করা যাবে। প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরির ক্ষেত্রে পদচ্যুত করতে হলে ৩ মাস আগে নোটিশ দিতে হয়। তা না দিয়ে চাকরিচ্যুত করা হলে এবং পাওনা বাকি থাকলে প্রথমে মালিক পক্ষ বরাবর আবেদন জানাতে হবে। তাতেও পরিশোধ না করলে শ্রম আদালতে মামলা করতে পারেন। অর্থাৎ বকেয়া পাওনা না পেলে মালিককে আবেদন করতে হয়, না মানলে আদালতে মামলা করা যায়।বেতন বকেয়া থাকা অবস্থায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলে করণীয়:মালিককে পাওনা পরিশোধে প্রথমে লিগ্যাল নোটিশ দিতে পারেন। নোটিশের পর পরিশোধ না করলে আপনি শ্রম আদালতে মামলা দায়ের করে প্রাপ্য আদায় করতে পারেন।মামলা নিষ্পত্তির পর করণীয়:শ্রম আদালতে রায় পেলে বসে থাকলে চলবে না। মালিক পক্ষ আপীল করলে আপীল আদালতে মামলা পরিচালনা করতে হবে। রায় কার্যকর না হলে আইনগত পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে হবে।শেষ কথা:একটা সময় ছিল যখন শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের জন্য চট্টগ্রামে গিয়ে মামলা পরিচালনা করতে হতো। সিলেটের শ্রমিকরা দূরত্ব ও হয়রানীর ভয়ে নিজের প্রাপ্যটুকু আদায় করা হতে নিরুৎসাহিত হতেন। সিলেটে শ্রম আদালত প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শ্রমিকদের জন্য ন্যায়বিচারের পথ অনেক সহজ হয়েছে। তবে সচেতনতার অভাব এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সংগঠনগুলোর অবহেলার কারণে এই সুবিধাগুলো অনেক শ্রমিকের কাছে এখনও অজানাই রয়ে গেল। । সকল শ্রমিকবান্ধব প্রতিষ্ঠান, সংগঠন এবং সচেতন নাগরিকদের একযোগে এগিয়ে এসে শ্রমিকদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা জরুরী।

লেখক : আইনজীবী, শ্রম আদালত, সিলেট।