
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে একটি অপরিকল্পিত ব্রীজের কারনে বন্ধ হতে চলেছে শত বছরের পুরোনো নৌপথ। ব্যাহত হবে নৌ চলাচল। বাধাগ্রস্ত হবে এই পথে চলাচলকারী সকল নৌকা। এই পথ দিয়ে নৌকা ধান রপ্তানিতে ব্যাপক বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিবে। বিপাকে পড়বেন এই অঞ্চলের অর্ধশতাধিক গ্রামের কৃষকরা।
উক্ত অপরিকল্পিত ব্রীজ নির্মাণ বন্ধের দাবিতে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ এবং মানববন্ধন করেও প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে এলাকাবাসী দাবী করেন।
জানা যায়, উপজেলার ১৩ নম্বর মন্দরী ইউনিয়নের রাজাখাই নামকস্থানের একটি জলপথের উপর রাডার প্রকল্পের আওতায় একটি অপরিকল্পিত ব্রীজ নির্মাণ কাজ করছে বানিয়াচং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস। কিন্তু ব্রীজটির নির্মাণ কাজ শেষ হলেই একটি শত বছরের পুরোনো নৌপথ বন্ধ হয়ে যাবে বলে এলাকাবাসী দাবী করেন। সেই সাথে বন্ধ হয়ে যাবে নৌযোগে ধান রপ্তানি সহ সকল প্রকার নৌ যোগাযোগ।
এতে অর্ধশতাধিক গ্রামের কৃষকরা চরম বিপাকে পড়বেন।
স্থানীয়রা জানান, যে স্থানে ব্রীজটি নির্মাণ হচ্ছে, সেটি আসলে শত বছরের পুরোনো একটি নৌপথ। বর্ষাকালে ওই নৌপথ ধরে উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের অন্তত ৫০টি গ্রামের কৃষকরা জেলা শহরে ধান বিক্রি করে থাকেন। ব্রীজটি নির্মাণ হলে আমরা চরম বিপাকে পড়বো বলে এলাকাবাসী জানান। ওই নৌপথ বন্ধ হলে কুমড়ি, দূর্গাপুর, নজিপুর,
ইসলামপুর,শ্রীমঙ্গলকান্দি,গাগাপুর, ভক্তপুর,পুরান বাজার, পাহাড়পুর, জসকেশরী,গানপুর, মুরাদপুর, বিথঙ্গলের আখড়া,ও পার্শ্ববর্তী জেলা কিশোরগঞ্জের মিঠামইন, মালিকের দরগা, দিল্লির আখড়াসহ হাওরাঞ্চলের অসংখ্য এলাকার সাথে হবিগঞ্জের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। এজন্য ব্রীজটির কাজ বন্ধের জন্য এলাকাবাসীর পক্ষ হতে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। অপরদিকে অপরিকল্পিত ব্রীজটির কাজ বন্ধের দাবিতে গতকাল ২০ মে বিকেলে স্থানীয় কালারডোবায় মানববন্ধন করেছেন নৌপরিবহন শ্রমিকরা।
এব্যাপারে জানতে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা বেগম সাথীর মুঠোফোনে একাধিক কল দিলেও কল রিসিভ হয়নি।