সিলেট ০৪:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫
News Title :
‎বানিয়াচংয়ে গভীর রাতে প্রবাসীর বাড়ি দখল, নিরীহ পরিবার জিম্মি! ‎নবীগঞ্জে চোরাই মোবাইল উদ্ধারে গিয়ে পুলিশের ওপর হামলা: ৫ জন আটক, ৬ পুলিশ সদস্য আহত‎ ‎নবীগঞ্জে আত্মহত্যা ও দাঙ্গা প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসনের সচেতনতামূলক সভা‎ সিলেটের জৈন্তাপুরে পালিত হলো জাতীয় কন্যা শিশু দিবস ‎ধনবাড়ীতে ওলামা দলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত: আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ‎সিলেটের বিভিন্ন সীমান্তে এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় গরু-মহিষের চোরাচালান আটক: বিজিবি’র সাফল্য ‎সখীপুরে মুসলিম জুয়েলার্সকে ১ লাখ টাকা জরিমানা ‎ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবিতে হবিগঞ্জে আইনজীবীদের মানববন্ধন ‎টাঙ্গাইল সদরে চাড়াবাড়ি এস ডি এস ব্রীজের পশ্চিম অংশ ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন মৃতের স্ত্রী হত্যা মামলা দিয়ে সাংবাদিক পরিবারকে হয়রানি, তদন্ত প্রতিবেদনের উপর তিনবার নারাজি ॥

‎টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে ঐতিহ্যবাহী ধুয়া গানের পুনরুজ্জীবন: ইউনুস বয়াতি ও ওয়াসিম বয়াতির মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে ঐতিহ্যবাহী ধুয়া গানের আসরে শিল্পীদের পরিবেশনা ।



‎টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী, কুমারগাতি গ্রামবাংলার শত বছরের ঐতিহ্যবাহী ধুয়া গান কালের বিবর্তনে যখন বিলুপ্তির পথে, ঠিক তখনই টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার কুমারগাতিতে অনুষ্ঠিত হলো এক মনোমুগ্ধকর ধুয়া গানের পালা। ইউনুস বয়াতি এবং ওয়াসিম বয়াতি’র অনবদ্য পরিবেশনা মুগ্ধ করলো উপস্থিত দর্শক-শ্রোতাদের। এই আয়োজন প্রমাণ করলো যে, ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখার প্রচেষ্টা এখনও বিদ্যমান।
‎বিলুপ্তপ্রায় ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম:
‎ধূয়া গান, যা গ্রামবাংলার মানুষের বিনোদনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, বর্তমানে তা প্রায় বিলুপ্ত। আধুনিকতার ছোঁয়ায় এবং প্রযুক্তির প্রসারে এই লোকজ শিল্প তার আবেদন হারাচ্ছে। তবে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে এখনও এর প্রচলন দেখা যায়, যা আশার আলো দেখাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা এবং প্রগতিশীল চিন্তক ইকবাল হোসেন জুপিটার এই ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি প্রতি বছর ধুয়া গান এবং লাঠি খেলার মতো গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে থাকেন।

ঐতিহ্যবাহী ধুয়া গানের শিল্পীরা গানের তালে তালে মত্ত ।

ইকবাল হোসেন জুপিটারের অঙ্গীকার:
‎গ্রামবাংলার এই ঐতিহ্যবাহী শিল্পকলা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ইকবাল হোসেন জুপিটার বলেন, “আমি চেষ্টা করছি এসব গ্রামবাংলার ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে। ধুয়া গান, লাঠি খেলা – এসব আজ বিলুপ্তির পথে। আমাদের নতুন প্রজন্মকে এই শিল্পকলার সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া এবং এর গুরুত্ব বোঝানো অত্যন্ত জরুরি।” তার এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে এবং গ্রামবাংলার লোকসংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন।
‎ইউনুস বয়াতি এবং ওয়াসিম বয়াতি’র মতো শিল্পীদের পরিবেশনা এবং ইকবাল হোসেন জুপিটারের মতো সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষের প্রচেষ্টায় গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী ধুয়া গান আবারও নতুন জীবন ফিরে পাচ্ছে, যা আমাদের লোকসংস্কৃতির জন্য এক শুভ বার্তা।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

‎বানিয়াচংয়ে গভীর রাতে প্রবাসীর বাড়ি দখল, নিরীহ পরিবার জিম্মি!

‎টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে ঐতিহ্যবাহী ধুয়া গানের পুনরুজ্জীবন: ইউনুস বয়াতি ও ওয়াসিম বয়াতির মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা

সময় ০৬:১১:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে ঐতিহ্যবাহী ধুয়া গানের আসরে শিল্পীদের পরিবেশনা ।



‎টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী, কুমারগাতি গ্রামবাংলার শত বছরের ঐতিহ্যবাহী ধুয়া গান কালের বিবর্তনে যখন বিলুপ্তির পথে, ঠিক তখনই টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার কুমারগাতিতে অনুষ্ঠিত হলো এক মনোমুগ্ধকর ধুয়া গানের পালা। ইউনুস বয়াতি এবং ওয়াসিম বয়াতি’র অনবদ্য পরিবেশনা মুগ্ধ করলো উপস্থিত দর্শক-শ্রোতাদের। এই আয়োজন প্রমাণ করলো যে, ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখার প্রচেষ্টা এখনও বিদ্যমান।
‎বিলুপ্তপ্রায় ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম:
‎ধূয়া গান, যা গ্রামবাংলার মানুষের বিনোদনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, বর্তমানে তা প্রায় বিলুপ্ত। আধুনিকতার ছোঁয়ায় এবং প্রযুক্তির প্রসারে এই লোকজ শিল্প তার আবেদন হারাচ্ছে। তবে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে এখনও এর প্রচলন দেখা যায়, যা আশার আলো দেখাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা এবং প্রগতিশীল চিন্তক ইকবাল হোসেন জুপিটার এই ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি প্রতি বছর ধুয়া গান এবং লাঠি খেলার মতো গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে থাকেন।

ঐতিহ্যবাহী ধুয়া গানের শিল্পীরা গানের তালে তালে মত্ত ।

ইকবাল হোসেন জুপিটারের অঙ্গীকার:
‎গ্রামবাংলার এই ঐতিহ্যবাহী শিল্পকলা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ইকবাল হোসেন জুপিটার বলেন, “আমি চেষ্টা করছি এসব গ্রামবাংলার ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে। ধুয়া গান, লাঠি খেলা – এসব আজ বিলুপ্তির পথে। আমাদের নতুন প্রজন্মকে এই শিল্পকলার সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া এবং এর গুরুত্ব বোঝানো অত্যন্ত জরুরি।” তার এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে এবং গ্রামবাংলার লোকসংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন।
‎ইউনুস বয়াতি এবং ওয়াসিম বয়াতি’র মতো শিল্পীদের পরিবেশনা এবং ইকবাল হোসেন জুপিটারের মতো সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষের প্রচেষ্টায় গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী ধুয়া গান আবারও নতুন জীবন ফিরে পাচ্ছে, যা আমাদের লোকসংস্কৃতির জন্য এক শুভ বার্তা।