সিলেট ১২:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
News Title :
‎এসএসসি পরীক্ষার্থী জনি দাস হত্যা: আসামি সাজু মিয়া ৩ দিনের রিমান্ডে, জনতার উত্তম-মধ্যম ‎সিলেটে বিপণীবিতানগুলোতে ইচ্ছেমতো পার্কিং ফি আদায়, ক্ষুব্ধ নগরবাসী। ‎নবীগঞ্জে ভয়াবহ সংঘাত: জনমনে প্রশ্ন, দাবি শান্তির বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি শিক্ষা বৃত্তি-২০২৪ প্রদান: সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সফল আয়োজন । ‎গুপ্ত টি হাউজ: শ্রীমঙ্গলের এক বিশ্বস্ত নাম পাবলিক পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে শিক্ষকদের অনীহা, সমাধানে করণীয়! সবুজের ছায়ায় লাল-সবুজের খোঁজে:‎লক্ষ্মীবাওড় জলাবন গোয়াইনঘাটে অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে লেঙ্গুড়া গ্রামবাসীর কঠোর হুঁশিয়ারি। সিলেট জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার কাজী মাহবুব উর রহমানকে ছাড়পত্র: নতুন কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ। বীর মুক্তিযোদ্ধা কবির উদ্দিন আহমদ আর নেই:

‎সিলেটে বিপণীবিতানগুলোতে ইচ্ছেমতো পার্কিং ফি আদায়, ক্ষুব্ধ নগরবাসী।

মোটর সাইকেল পার্কিং-এ প্রতিকী ছবি।


‎সিলেটের বিপণীবিতানগুলোতে ইচ্ছেমতো পার্কিং ফি আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কোনো প্রকার নিয়ম-নীতি ছাড়াই অতিরিক্ত পার্কিং ফি নেওয়ায় জনমনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নগরীর প্রতিটি বিপণীবিতানেই এমন স্বেচ্ছাচারিতা দেখা যাচ্ছে, যেখানে মার্কেট কর্তৃপক্ষ তাদের নিজেদের ইচ্ছেমতো পার্কিং ফি আদায় করছে।
‎অনেক শপিংমলে ঘণ্টাপ্রতি পার্কিং ফি নেওয়া হচ্ছে। এক ঘণ্টা পার হলেই অতিরিক্ত ফি আদায় করছেন পার্কিংয়ের দায়িত্বে থাকা কর্মীরা। এ নিয়ে প্রায়শই মোটরসাইকেল ও অন্যান্য যানবাহনের মালিকদের সঙ্গে তাদের বাগ্বিতণ্ডা হচ্ছে।
‎সিলেট নগরীর অভিজাত বিপণীবিতানসহ সব শপিং মলেই একই চিত্র। ক্রেতারা যখন কেনাকাটা করতে গাড়ি নিয়ে মার্কেটে আসেন, তখন মার্কেট কর্তৃপক্ষের উচিত তাদের জন্য বিনামূল্যে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা। কিন্তু উল্টো তাদের কাছ থেকে ঘণ্টাপ্রতি পার্কিং ফি আদায় করা হচ্ছে, যা ক্রেতাদের প্রতি অমানবিক।
‎অধিকাংশ বিপণীবিতানে নিজস্ব পার্কিং ব্যবস্থা না থাকায় ক্রেতারা মূল সড়কেই সিএনজি অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল পার্কিং করতে বাধ্য হচ্ছেন। এর ফলে প্রায়শই রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে এবং জনদুর্ভোগ বাড়ছে।
‎আগে প্রতিটি বিপণীবিতানে পার্কিং ফি ১০ টাকা নির্ধারিত থাকলেও এখন প্রায় সব শপিং মলে ২০ টাকা হারে আদায় করা হচ্ছে। এর সঙ্গে ঘণ্টাপ্রতি অতিরিক্ত ফি আদায় করা তাদের নিয়মে পরিণত হয়েছে। কিছু বিপণীবিতানে এখনও ১০ টাকা হারে পার্কিং ফি নেওয়া হলেও, অধিকাংশ স্থানেই ২০ টাকা করে আদায় করতে দেখা গেছে। এতে আইনের কোনো তোয়াক্কা করছেন না পার্কিংয়ে দায়িত্বরত কর্মীরা।
‎নগরীর ব্যস্ততম শপিংমল করিম উল্লাহ মার্কেটের দুই পাশের পার্কিং, ব্লু ওয়াটার ও আল হামরা শপিং সিটিসহ অভিজাত বিপণীবিতানগুলোতে ইচ্ছেমতো পার্কিং ফি আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। তবে শুকরিয়া মার্কেটসহ কিছু বিপণীবিতানে আগে ১০ টাকা হারে পার্কিং ফি নেওয়া হত, কিন্তু বর্তমানে তারাও ২০ টাকা করে পার্কিং ফি নিচ্ছে। নগরীর পুরাতন মধুবন মার্কেটে এখনও বিনামূল্যে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা বিদ্যমান।
‎বিভিন্ন কাজে নগরীতে আসা মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহনের মালিকদের অতিরিক্ত পার্কিং ফি দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। অনেকেই বাধ্য হয়ে যত্রতত্র পার্কিং করছেন। অনেককে আবার হাজী কুদরত উল্লাহ মসজিদের পার্কিংয়ে রোদের মধ্যে মোটরসাইকেল ও অন্যান্য যানবাহন রাখতে দেখা গেছে। এতে নামাজের সময় মুসল্লিদের গাড়ি রাখার জায়গা পেতে সমস্যা হচ্ছে। এর কারণ হলো বিপণীবিতানে অতিরিক্ত পার্কিং ফি আদায়ের ফলে লোকজন এসব জায়গায় গাড়ি রাখতে বাধ্য হচ্ছেন।
‎সরেজমিনে সিলেট নগরীর বিভিন্ন বিপণীবিতানে ঘুরে এবং দায়িত্বরত কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। করিম উল্লাহ মার্কেটের পার্কিংয়ে কর্মরত একজন কর্মচারী (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানান, ২০ টাকা পার্কিং ফি নির্ধারণে সরকারের কোনো নিয়ম নেই, এটি মার্কেট মালিকপক্ষ নির্ধারণ করে থাকেন।
‎নগরীর প্রায় প্রতিটি বিপণীবিতানেই পার্কিং নিয়ে একই ধরনের চিত্র। গণমাধ্যম কর্মীদের পরিচয় দিলেও পার্কিং ফি থেকে ছাড় পাওয়া যায় না। তাদের জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন, মার্কেট কর্তৃপক্ষের বিনা টাকায় পার্কিংয়ের অনুমতি নেই। এ নিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের মধ্যেও ক্ষোভ দেখা গেছে।
‎সচেতন মহল দাবি জানিয়েছে, সিলেট নগরীর বিপণীবিতানগুলোতে ইচ্ছেমতো পার্কিং ফি আদায় বন্ধ করতে একটি নির্দিষ্ট নিয়ম বেঁধে দেওয়া উচিত। এর পাশাপাশি শপিং করতে আসা ক্রেতাদের গাড়ির জন্য বিনামূল্যে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করারও দাবি তাদের।
‎পার্কিং ফি নিয়ে সিলেটের ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক আরিফ আহমদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি তাদের ভোক্তা অধিকারের আইনের আওতায় পড়ে কিনা, তা যাচাই করে পরে জানাবেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

‎এসএসসি পরীক্ষার্থী জনি দাস হত্যা: আসামি সাজু মিয়া ৩ দিনের রিমান্ডে, জনতার উত্তম-মধ্যম

‎সিলেটে বিপণীবিতানগুলোতে ইচ্ছেমতো পার্কিং ফি আদায়, ক্ষুব্ধ নগরবাসী।

সময় ০৬:১৬:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫

মোটর সাইকেল পার্কিং-এ প্রতিকী ছবি।


‎সিলেটের বিপণীবিতানগুলোতে ইচ্ছেমতো পার্কিং ফি আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কোনো প্রকার নিয়ম-নীতি ছাড়াই অতিরিক্ত পার্কিং ফি নেওয়ায় জনমনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নগরীর প্রতিটি বিপণীবিতানেই এমন স্বেচ্ছাচারিতা দেখা যাচ্ছে, যেখানে মার্কেট কর্তৃপক্ষ তাদের নিজেদের ইচ্ছেমতো পার্কিং ফি আদায় করছে।
‎অনেক শপিংমলে ঘণ্টাপ্রতি পার্কিং ফি নেওয়া হচ্ছে। এক ঘণ্টা পার হলেই অতিরিক্ত ফি আদায় করছেন পার্কিংয়ের দায়িত্বে থাকা কর্মীরা। এ নিয়ে প্রায়শই মোটরসাইকেল ও অন্যান্য যানবাহনের মালিকদের সঙ্গে তাদের বাগ্বিতণ্ডা হচ্ছে।
‎সিলেট নগরীর অভিজাত বিপণীবিতানসহ সব শপিং মলেই একই চিত্র। ক্রেতারা যখন কেনাকাটা করতে গাড়ি নিয়ে মার্কেটে আসেন, তখন মার্কেট কর্তৃপক্ষের উচিত তাদের জন্য বিনামূল্যে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা। কিন্তু উল্টো তাদের কাছ থেকে ঘণ্টাপ্রতি পার্কিং ফি আদায় করা হচ্ছে, যা ক্রেতাদের প্রতি অমানবিক।
‎অধিকাংশ বিপণীবিতানে নিজস্ব পার্কিং ব্যবস্থা না থাকায় ক্রেতারা মূল সড়কেই সিএনজি অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল পার্কিং করতে বাধ্য হচ্ছেন। এর ফলে প্রায়শই রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে এবং জনদুর্ভোগ বাড়ছে।
‎আগে প্রতিটি বিপণীবিতানে পার্কিং ফি ১০ টাকা নির্ধারিত থাকলেও এখন প্রায় সব শপিং মলে ২০ টাকা হারে আদায় করা হচ্ছে। এর সঙ্গে ঘণ্টাপ্রতি অতিরিক্ত ফি আদায় করা তাদের নিয়মে পরিণত হয়েছে। কিছু বিপণীবিতানে এখনও ১০ টাকা হারে পার্কিং ফি নেওয়া হলেও, অধিকাংশ স্থানেই ২০ টাকা করে আদায় করতে দেখা গেছে। এতে আইনের কোনো তোয়াক্কা করছেন না পার্কিংয়ে দায়িত্বরত কর্মীরা।
‎নগরীর ব্যস্ততম শপিংমল করিম উল্লাহ মার্কেটের দুই পাশের পার্কিং, ব্লু ওয়াটার ও আল হামরা শপিং সিটিসহ অভিজাত বিপণীবিতানগুলোতে ইচ্ছেমতো পার্কিং ফি আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। তবে শুকরিয়া মার্কেটসহ কিছু বিপণীবিতানে আগে ১০ টাকা হারে পার্কিং ফি নেওয়া হত, কিন্তু বর্তমানে তারাও ২০ টাকা করে পার্কিং ফি নিচ্ছে। নগরীর পুরাতন মধুবন মার্কেটে এখনও বিনামূল্যে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা বিদ্যমান।
‎বিভিন্ন কাজে নগরীতে আসা মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহনের মালিকদের অতিরিক্ত পার্কিং ফি দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। অনেকেই বাধ্য হয়ে যত্রতত্র পার্কিং করছেন। অনেককে আবার হাজী কুদরত উল্লাহ মসজিদের পার্কিংয়ে রোদের মধ্যে মোটরসাইকেল ও অন্যান্য যানবাহন রাখতে দেখা গেছে। এতে নামাজের সময় মুসল্লিদের গাড়ি রাখার জায়গা পেতে সমস্যা হচ্ছে। এর কারণ হলো বিপণীবিতানে অতিরিক্ত পার্কিং ফি আদায়ের ফলে লোকজন এসব জায়গায় গাড়ি রাখতে বাধ্য হচ্ছেন।
‎সরেজমিনে সিলেট নগরীর বিভিন্ন বিপণীবিতানে ঘুরে এবং দায়িত্বরত কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। করিম উল্লাহ মার্কেটের পার্কিংয়ে কর্মরত একজন কর্মচারী (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানান, ২০ টাকা পার্কিং ফি নির্ধারণে সরকারের কোনো নিয়ম নেই, এটি মার্কেট মালিকপক্ষ নির্ধারণ করে থাকেন।
‎নগরীর প্রায় প্রতিটি বিপণীবিতানেই পার্কিং নিয়ে একই ধরনের চিত্র। গণমাধ্যম কর্মীদের পরিচয় দিলেও পার্কিং ফি থেকে ছাড় পাওয়া যায় না। তাদের জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন, মার্কেট কর্তৃপক্ষের বিনা টাকায় পার্কিংয়ের অনুমতি নেই। এ নিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের মধ্যেও ক্ষোভ দেখা গেছে।
‎সচেতন মহল দাবি জানিয়েছে, সিলেট নগরীর বিপণীবিতানগুলোতে ইচ্ছেমতো পার্কিং ফি আদায় বন্ধ করতে একটি নির্দিষ্ট নিয়ম বেঁধে দেওয়া উচিত। এর পাশাপাশি শপিং করতে আসা ক্রেতাদের গাড়ির জন্য বিনামূল্যে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করারও দাবি তাদের।
‎পার্কিং ফি নিয়ে সিলেটের ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক আরিফ আহমদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি তাদের ভোক্তা অধিকারের আইনের আওতায় পড়ে কিনা, তা যাচাই করে পরে জানাবেন।