
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার ধোপাখালী ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ওমর ফারুকের ওপর গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে অতর্কিত হামলার ঘটনাটি অবশেষে আপোষে নিষ্পত্তি হয়েছে। গুরুতর আহত ওমর ফারুক কোনো আইনি পদক্ষেপ না নিয়ে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত নেন।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর আনুমানিক রাত সাড়ে আটটার দিকে ওমর ফারুক ব্যক্তিগত কাজ শেষে পাশের গ্রাম থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় পেছন থেকে একদল দুর্বৃত্ত তাঁকে আক্রমণ করে। গুরুতর আহত অবস্থায় হামলাকারীরা তাঁকে ধোপাখালী বাজারের পূর্ব দিকে একটি ইটভাটায় ফেলে রেখে যায়। প্রায় এক ঘণ্টা পর গ্রামের লোকজন মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে ধনবাড়ী উপজেলা সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়।

অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে তাঁকে দ্রুত ময়মনসিংহ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
ময়মনসিংহ হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায়, ওমর ফারুকের মাথায় মারাত্মক আঘাত করা হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সাময়িকভাবে বাড়িতে আনা হলেও, অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় তাঁকে পুনরায় ময়মনসিংহ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এই হামলার ঘটনায় “কতিপয় আওয়ামী সমর্থক” আব্বাস উদ্দিনকে দায়ী করা হয়েছিল। এই নিয়ে আজ রাতে ধোপাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে একটি সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সালিশে উপস্থিত ছিলেন ধনবাড়ী উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার রহমান সাজু, ধোপাখালী ইউনিয়ন কৃষক দলের জয়েন্ট সেক্রেটারি তমসির আলী, সাংবাদিক ইয়াছিন কবির রুবেল সহ স্থানীয় মুরুব্বিগণ।
সালিশ বৈঠকে অভিযুক্ত আব্বাস উদ্দিনকে বারবার জিজ্ঞেস করা হয়েছিল কার ইন্ধনে তিনি ওমর ফারুকের ওপর হামলা করেছিলেন। জবাবে আব্বাস উদ্দিন দাবি করেন, “আমি অন্ধকারে চোর সন্দেহে তাকে আঘাত করি। তাকে শুধুমাত্র ২ টা চরথাপ্পর মারি! পরে পরিচয় পাওয়ার পর আমি তাকে ছেড়ে দিই।”
অভিযুক্ত আব্বাস উদ্দিনের এই জবানবন্দি শোনার পর সালিশে ওমর ফারুকের চিকিৎসা বাবদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়। আব্বাস উদ্দিনকে আগামী ৩ দিনের মধ্যে এই জরিমানার টাকা পরিশোধের সময় বেঁধে দেওয়া হয়।
এছাড়াও, অভিযুক্ত আব্বাস উদ্দিন তাঁর অপরাধের জন্য ওমর ফারুকের কাছে ক্ষমা চান এবং ভবিষ্যতে আর কখনো এ ধরনের অন্যায় কাজ করবেন না বলে অঙ্গীকার করেন।
উল্লেখ্য, এই হামলার নেপথ্যে দলীয় কোন্দল নাকি ব্যক্তিগত রেষারেষি থাকতে পারে বলে এলাকায় আলোচনা উঠেছিল!
ওমর ফারুক আঘাত প্রাপ্ত হওয়ার পরও কেন সে আইনি পদক্ষেপ নিল না। আইনি প্রদক্ষেপ না নেওয়ায় ঘটনাটি এলাকার মানুষজন ভিন্ন চোখে দেখেন?
হামলার বিস্তারিত জানতে অনলাইন সিলেটের প্রতিবেদক আহত ওমর ফারুকের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলেও তার শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে সে সময় কথা বলতে পারেননি।
পরবর্তীতে এই প্রতিবেদকের কাছে ওমর ফারুক বিস্তারিত বর্ণনা করেন। তিনি কোন প্রকার আইনি প্রদক্ষেপ নেননি। এই হামলায় ঘটনায় এলাকায় রহস্য জনক ঘটনার জন্মদিয়েছে। নানান প্রকার রসালো গল্পের সূত্রপাত হয়েছে!