
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় রবিবার ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে ১৯ টি পূজা মন্ডপে শুরু হয়েছে শারদীয় দূর্গা পূজার আনুষ্ঠানিকতা। ইতিমধ্যে দূর্গা পূজাকে সামনে রেখে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
গতকাল জৈন্তাপুর মডেল থানা হতে পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশের সমন্বয়ে থানায় ব্রিফিং প্যারেড শেষে প্রতিটি পূজা মন্ডপে ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।
এ বছর যে কয়টি মন্ডপে শারদীয় দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে সেগুলো হলো, ১ নং নিজপাট ইউনিয়ন পরিষদের অন্তর্ভুক্ত শ্রী শ্রী কালিবাড়ী পূজা মন্ডপ,শ্রী শ্রী দূর্গাবাড়ী পূজা মন্ডপ,শ্রী শ্রী রামেশ্বর শিব মন্দির সারিঘাট ও শ্রী শ্রী মহাদেব বাড়ী ঘিলাতৈল পূজা মন্ডপ।
২ নং জৈন্তাপুর ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত পূজামণ্ডপগুলো হলো,শ্রী শ্রী দূর্গা মন্দির শ্রীপুর চা-বাগান,মোকামবাড়ী সার্বজনীন দূর্গা পূজা মন্ডপ,কেন্দ্রী কেন্দ্রী হাওড় সার্বজনীন দূর্গা পূজা মন্ডপ,গাতিগ্রাম সার্বজনীন দূর্গা পূজা মন্ডপ।
৩ নং চারিকাঠা ইউনিয়ন পরিষদের অন্তর্ভুক্ত পূজামণ্ডপ গুলো হচ্ছে সরুখেল পশ্চিম সার্বজনীন বিশ্ব হরি দেবালয় পূজা মন্ডপ,আফিফা নগর চা বাগান পূজা মন্ডপ,থুবাং ভৈরব বাড়ী সার্বজনীন পূজা মন্ডপ।
৪ নং দরবস্ত ইউনিয়নে একমাত্র পূজা মন্ডপ হলো উত্তর মহাইল সার্বজনীন শ্রী শ্রী দূর্গা মন্দির। এ ছাড়াও ৫ নং ফতেহপুর ইউনিয়নে হেমু সার্বজনীন পূজা মন্ডপ।
৬ নং চিকনাগোল ইউনিয়ন পরিষদের অন্তর্ভুক্ত পূজা মন্ডপ গুলো হলো, শ্রী শ্রী দূর্গা মন্ডপ আহমেদ নগর চা বাগান, হাবিব নগর চা বাগান পূজা মন্ডপ,শ্রী শ্রী শারদীয় দূর্গা পূজা উদযাপন কমিটি উমনপুর, খান চা বাগান পূজা মন্ডপ,শ্রী শ্রী শিব মন্দির পূজা মন্ডপ রামেশ্বর ও শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম পূজা মন্ডপ সেনাপতি টিলা।
এদিকে শারদীয় দূর্গা পূজা -২০২৫ এ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জর্জ মিত্র চাকমা।
তিনি বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে ১৯ টি পূজা মন্ডপে প্রশাসনের পক্ষ থেকে একজন করে কর্মকর্তাকে নির্দিষ্ট মন্ডপে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রতিটি মন্ডপে সিসি ক্যামেরা স্হাপন করা হয়েছে এবং তা নিয়ন্ত্রণ থাকবে কন্ট্রোল রুমে।
পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে আনুষ্ঠানিক বৈঠকের পর সার্বিক বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রতিদিন উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করা হবে।
এ জন্য ষষ্ঠী পূজার আনুষ্ঠানিকতা থেকে শুরু করে বিজয়াদশমী পর্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে পূজার কার্যক্রম সম্পন্ন করতে তিনি জৈন্তাপুর উপজেলার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি, সুধীজন গুনীজন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।