
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা রূপরেখাকে “জনগণের মুক্তির সনদ” হিসেবে অভিহিত করেছেন মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও বিগত ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী শিল্পপতি আলহাজ্ব নাসির উদ্দিন আহমেদ মিঠু।
তিনি বলেন, “এই রূপরেখা কেবল রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়-এটি গণতন্ত্র, সুশাসন এবং জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার একটি সুস্পষ্ট ও কার্যকর পরিকল্পনা।”
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বড়লেখা উপজেলার আব্দুর রহমান কনভেনশন হলে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট ও বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের উদ্যোগে তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা রাষ্ট্র গঠন কর্মসূচির সমর্থনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভা এসব কথা তিনি।
বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের বড়লেখা উপজেলার সভাপতি এডভোকেট শৈলেশ চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বড়লেখা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো: আব্দুল হাফিজ, সাবেক আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন, সিনিয়র সহসভাপতি নছিব আলী, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান খছরু, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুস শহীদ খান, পৌর বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম খোকন, সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল মালিক, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাফিজ ললন, জুড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি তানজির আহমেদ রাসেল সহ অনেকেই।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন আহমেদ মিঠু আরো বলেন- বিভিন্ন রাজনৈতিক দল জাতীয় নির্বাচন না হওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে পায়তারা করছে। তারা তাদের হিসাব নিকাশে দেখেছে ৩০০ আসনে যদি আসন ভিত্তিক নির্বাচন হয় তাহলে তারা ২০ থেকে ২৫ টি আসনের বেশি পাবে না। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলো একটি অলৌকিক বিষয়। বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ নির্বাচনে পিআর পদ্ধতি কখনো গ্রহণ করবে না। এসময় তিনি বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন প্রথম সারির মুক্তিযোদ্ধা।
তিনি মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে সেক্টর কমান্ডার হিসেবে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল ধর্মের মানুষকে সমন্বয় করে তিনি দল গঠন করেছিলেন বলেই তাঁকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা বলা হয়। আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমান মন থেকে চাইতেন, এই দেশটা কারো ব্যক্তিগত নয়, এই দেশটা কোন দলের নয়, এই দেশটা বাংলাদেশী সকল মানুষের।
সেই চিন্তা চেতনা নিয়েই তিনি দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছিলেন বলেই, দেশের গণ্ডি পেরিয়ে তিনি বিশ্ব দরবারে জনপ্রিয় হয়েছিলেন।
আলোচকরা শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময় ছাড়াও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় সকলের সম্মিলিত ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এসময় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট ও বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।