
সিলেটী আঞ্চলিক নাটকের একদল নাট্যকর্মী সম্মিলিতভাবে গড়ে তুলেছেন এই অভিনব রেস্টুরেন্টটি। গত ১৭ই জুলাই দানবীর রাগীব আলী ‘কটাই’র বাড়ি” রেস্টুরেন্টের শুভ উদ্বোধন করেন। মনোরম পরিবেশে “বাঙালিয়ানা স্বাদে”
সুরমা নদীর পাড়ে নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে মজাদার খাবারের সুযোগ মিলছে কটাই’র বাড়িতে। এটি শুধু একটি রেস্টুরেন্ট নয়, বরং ঘুরতে আসারও একটি প্রিয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে। সিলেটের স্থানীয়রা পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে দলবেঁধে প্রতিদিন এখানে আসছেন, অনেকে শুধু ঘুরতে ও ছবি তুলতেও ভিড় করছেন।
সিলেট-জকিগঞ্জ রোডের গোটাটিকর এলাকার পাসপোর্ট অফিসের পাশেই অবস্থিত কটাই’র বাড়ি রেষ্টুরেন্ট। কদমতলী থেকে অটোরিকশা বা সিএনজিতে সহজেই এখানে পৌঁছানো যায়, যা ভ্রমণার্থীদের জন্য যাতায়াতকে আরও সুবিধাজনক করে তুলেছে।
সন্ধ্যার পর থেকে ভোজনরসিকদের আনা গোনা বেড়ে যায়। রাতে কটাই’র বাড়ি আলোকসজ্জায় অন্যরকম পরিবেশের সৃষ্টি হয়। সুরমা নদীর সাথে কটাই’র বাড়ির দারুণ মিতালি গড়ে উঠে। অন্যরকম পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

”কটাই’র বাড়ি”র পেছনের গল্প
রেস্টুরেন্টের অন্যতম কর্ণধার সাহেদ মোশাররফ, যিনি কটাই মিয়া নামেই পরিচিত, জানান যে তারা নাট্যকর্মীরা মিলে নাটকের পাশাপাশি সততার সাথে ব্যবসা করার চেষ্টা করছেন। তাদের লক্ষ্য, গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদান করা।
উদ্বোধনের পর খাবারের মান ও মূল্য নিয়ে কিছু অভিযোগ উঠলেও, সাহেদ মোশাররফ দ্রুতই এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, শিল্পীরা মিলে এই রেস্টুরেন্ট তৈরি করেছেন এবং ক্রেতাদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে তারা অঙ্গীকারবদ্ধ। তিনি আরও যোগ করেন, মানুষ কটাই’র বাড়িতে ঘুরতে ও ছবি তুলতেও আসতে পারেন, খাবার খাওয়াটা বাধ্যতামূলক নয়। এত আলোচনার সমালোচনার পরেও ভ্রমণপিপাসু ও ভোজনরসিকদের আনাগোনা কটাই’র বাড়িতে বেড়েই চলেছে, যা এর ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তারই প্রমাণ।